কোরআন পড়বেন কেন?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১

কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কীভাবে কোরআন পড়তে হবে? কোরআন পড়ার ফজিলত ও উপকারিতা কী? এ সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা কী?

মুমিন মুসলমানের জন্য তারতিলের সঙ্গে কোরআন পড়ার নির্দেশ এসেছে। তারতিলের সঙ্গে কোরআন পড়া প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন-

وَ رَتِّلِ الۡقُرۡاٰنَ تَرۡتِیۡلًا

‘আর কোরআন পড় বা তেলাওয়াত কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে।’ (সুরা মুযযাম্মিল : আয়াত ৪)

একাধিক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরআন পড়তেন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে এবং তিনি তাঁর উম্মতকেও ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে থেমে থেমে কোরআন পড়া শিক্ষা দিতেন।

কোরআন পড়ার ধরন

উল্লেখিত আয়াত থেকে কোরআন পড়ার ধরন কেমন হবে তা সুস্পষ্টভাবে হাদিসের উপমায় ফুটে ওঠেছে। তাহলো-

তারতিল সহকারে কোরআন পড়তে হবে। আর তারতিল দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- ধীরে ধীরে সঠিকভাবে বাক্য উচ্চারণ করা। কোরআনের শব্দগুলো ধীরে ধীরে মুখে উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে তা উপলব্ধি করার জন্য গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনাও করতে হবে। (ইবনে কাসির)

> হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোরআন পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন- ‘নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শব্দগুলোকে টেনে টেনে পড়তেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে বললেন যে, তিনি আল্লাহ, রাহমান এবং রাহীম শব্দকে মদ্দ করে বা টেনে পড়তেন।’ (বুখারি)

> হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে একই প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক একটি আয়াত আলাদা আলাদা করে পড়তেন এবং প্রতিটি আয়াত পড়ে থামতেন। তিনি ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন' বলে থামতেন। তারপর ‘আর-রাহমানির রাহিম’ বলে থামতেন। তারপর ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন’ বলে থামতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি)

> হজরত হুজায়ফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু বৰ্ণনা করেন, একদিন রাতে আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে নামাজ পড়তে দাঁড়ালাম। আমি দেখলাম, তিনি এমনভাবে কোরআন তেলাওয়াত করছেন যে, যেখানে তাসবিহের বিষয় আসছে সেখানে তিনি তাসবিহ পড়ছেন, যেখানে দোয়ার বিষয় আসছে সেখানে তিনি দোআ, করছেন এবং যেখানে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয় আসছে সেখানে তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করছেন।’ (মুসলিম)

> হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বৰ্ণনা করেন, একবার রাতের নামাজে কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এ আয়াতটির কাছে পৌছলেন ‘আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন; তবে তারা আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদের ক্ষমা করে দেন, তাহলে আপনি পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ’; তখন তিনি বার বার এ আয়াতটিই পড়তে থাকলেন এবং এভাবে ভোর হয়ে গেল।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কোরআন পড়ায় সুর

সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণও এভাবে কোরআন পড়তেন। কোরআন পড়ার ক্ষেত্রে সুন্দর কণ্ঠ দেওয়া, সুললিত কণ্ঠে কোরআন পড়াও উত্তম। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
> ‘যে কোরআনকে সুন্দর স্বরে পড়ে না সে আমার দলভূক্ত নয়।’ (বুখারি)

> ‘তোমরা কোরআনকে তোমাদের সুর দিয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত কর।’ (ইবনে মাজাহ)

> ‘হজরত আবু মুসা আশাআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু সুমিষ্ট স্বরে কোরআন পাঠ করতেন বিধায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘তোমাকে দাউদ পরিবারের সুর দেওয়া হয়েছে।’ (বুখারি, মুসলিম)

> ‘কেয়ামতের দিন কোরআনের অধিকারীকে বলা হবে, তুমি পড় এবং আরোহন করতে থাক। সেখানেই তোমার স্থান হবে যেখানে তোমার কোরআন পড়ার আয়াতটি শেষ হবে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

কোরআন পড়া ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ

হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কোরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)

কোরআন সুপারিশকারী

হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কোরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কোরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

হজরত নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘কোরআন ও দুনিয়াতে তার (কোরআনের) উপর আমলকারীদের (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সুরা বাকারাহ ও সুরা আল-ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের পাঠকারীদের স্বপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে।’ (মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

কোরআন বুঝে কিংবা না বুঝে পড়া

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোরআনের হাফেজ (বিশুদ্ধভাবে পাঠকারী) মহা সম্মানিত পুণ্যবান লেখকদের (ফেরেশতাদের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তির (পাকা হিফজ না থাকার কারণে) কোরআন পড়ার সময় ‘ওঁ-ওঁ’ করে কিংবা পড়তে কষ্টবোধ হয় তবে তার জন্য রয়েছে দুইটি সওয়াব। (একটি পড়ার জন্য আর দ্বিতীয়টি কষ্টের জন্য)।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)

কোরআন পড়া ব্যক্তির উপমা

হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোরআন পড়া মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে ঠিক উতরুজ্জা (কমলা লেবুর মত এক ধরণের ফল); যার ঘ্রাণ উত্তম এবং স্বাদও উত্তম। আর যে মুমিন কোরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট।

(অন্যদিকে...)

কোরআন পড়া মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসী) গাছের মতো; যার ঘ্রাণ উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)

কোরআন পড়ায় উত্থান-পতন

হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কোরআন মাজিদ পড়ার) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর (উন্নতির) উত্থান ঘটান এবং এরই (অবাধ্যতার) দ্বারা অন্য (অবাধ্যতাকারী) গোষ্ঠীর পতন ঘটান।’ (মুসলিম, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)

কোরআন পড়া নিয়ে হিংসা

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই জনের ক্ষেত্রে ঈর্ষা করা বৈধ। (১) যাকে আল্লাহ কোরআন (মুখস্থ করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিন-রাত পড়ে ও আমল করে। (২) যাকে আল্লাহ তাআলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে) দিন-রাত ব্যয় করতে থাকে।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)

কোরআন পাঠে প্রশান্তি নাজিল হয়

হজরত বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন এক লোক (কোরআনের) সুরা কাহফ পড়ছিল। তার পাশেই দুটো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ইতোমধ্যে লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিলো। মেঘটি লোকটির কাছাকাছি হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে (লাফালাফি) আরম্ভ করলো। এরপর যখন সকাল হলো তখন লোকটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হাজির হয়ে এ ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি (প্রিয় নবি) বললেন, ‘ওটি ছিল প্রশান্তি; যা তোমার কোরআন পড়ার কারণে নাজিল হয়।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

কোরআন পড়ায় প্রতি বর্ণের সাওয়াব

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কোরআন মাজিদ)-এর একটি বর্ণ পড়বে, তার একটি নেকি হবে। আর (এই) একটি নেকি দশটি নেকির সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ।’ (তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম; যার নেকির সংখ্যা হবে ত্রিশ)।’ (তিরমিজি)

কোরআন থেকে দূরে থাকার কুফল

সুতরাং কোনোভাবেই কোরআন পড়ো থেকে দূরে থাকার সুযোগ নেই। আর কোরআন পড়া থেকে বিরত বা দূরে থাকলে এর পরিণতি বিরান ঘরের মতো। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোরআনের কোনো অংশ যে ব্যক্তির পেটে নেই; সে (সেই পেট বা উদর) বিরান ঘরের সমতুল্য।’ (তিরমিজি, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)

মনে রাখতে হবে

কোরআন পড়ার ফজিলত অনেক। আর তাই কোরআন বেশি বেশি পড়তে হবে। বুঝলেও পড়তে হবে; না বুঝলেও পড়তে হবে। সাবলীলভাবে পড়তে না পারলে থেমে থেমে অল্প অল্প করে কষ্ট হলেও পড়তে হবে। তবে উল্লেখিত ফজিলত ও মর্যাদা সমগুণ বা দ্বিগুণ পর্যন্ত পাবেন মুমিন।

কোরআন পাঠকারীর চূড়ান্ত মর্যাদা

আর পরকালে কোরআন পড়া ব্যক্তির জন্য তো রয়েছে বিশেষ মর্যাদার লোভনীয় ঘোষণা। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্র কোরআন পড়া ব্যক্তি, হাফেজ ও তার উপর আমলকারীকে (কেয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কোরআনুল কারিম পড়তে থাক আর (মর্যাদার আসনে উপরে) চড়তে থাক। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক; যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভেতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে; যেখানে তোমার শেষ আয়াত পড়া সম্পন্ন হবে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

কেন কোরআন পড়তে হবে? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য উল্লেখিত হাদিসের বর্ণনাগুলোই যথেষ্ট। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে কোরআন পড়ার বিকল্প নেই। কোরআন পড়ায় মিলবে দুনিয়া শান্তি ও পরকালের মুক্তি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তারতিলের সঙ্গে ধীরে ধীরে থেমে থেমে সুন্দর ও সুললীত কণ্ঠে কোরআন পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।