আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কার্যকরী তাসবিহ
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করবেন এ ঘোষণা কুরআনে পাকে দিয়েছেন। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করেও তিনি মানুষের ঈমান ও তাঁর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।
আর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বান্দার করণীয় হলো দুনিয়ার যাবতীয় বিপদাপদকে ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি তাঁর শেখানো তাসবিহ-তাহলিল এবং তাওবা-ইসতেগফার করা।
দুনিয়ার যাবতীয় ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকতে এবং তাঁর যাবতীয় পরীক্ষায় পাস করতে পবিত্র কুরআনের দুটি আয়াতাংশের সমন্বয়ে একটি উত্তম তাসবিহ তথা দোয়া রয়েছে। যা সফলতা লাভে অত্যন্ত কার্যকরী।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানীতে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে এ দোয়া পড়ার জন্য তাঁর উম্মতদেরকে উৎসাহিত করেছেন। আর তা হলো-
উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নে'মাল ওয়াকিল; নে'মাল মাওলা ওয়া নে'মান নাছির।'
অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।’
মহান আল্লাহ তাআলাই সেই মহান সত্তা; তিনি যদি কাউকে বিপদ দিতে চান তা রোধ করার কোনো শক্তি কারো নেই। আবার কাউকে যদি তিনি কল্যাণ দিতে চান তাতে বাধা দেয়ার সাধ্যও কারো নেই। তাই আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে এবং তাঁর সাহায্য লাভে এ দোয়াটিই সর্বোত্তম।
সুতরাং বিপদ-আপদ-মুসিবতে আল্লাহর শেখানো শব্দমালা দ্বারাই তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করা উত্তম। যেহেতু আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তাঁরই তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য যে, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এ দোয়ার প্রথমাংশ পড়ে নমরূদের অগ্নিকুণ্ডলি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে যখন অবিশ্বাসী অত্যাচারী নমরূদ অগ্নিতে নিক্ষেপ করেন তখন তিনি ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’ পড়েন। যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে নমরূদে অগ্নিকুণ্ডলী থেকে রক্ষা করেছিলেন।
আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন শুনলেন যে, মুশরিকরা তাঁর ওপর আক্রমণ করবে তখন তিনি এ খবর পাওয়া মাত্রই ‘হামরাউল আসাদ’ নামক স্থানে এ দোয়াটি পড়েন। (বুখারি)
পরিশেষে...
মানুষের জীবন জীবিকায়, আয়-উপার্জনে খড়ার প্রয়োজনে মেঘ যেমন ক্ষতি; আবার মেঘের প্রয়োজনে খড়াও তেমন ক্ষতিকর। এমনিভাবে একটার বিপরীতে অন্যটা প্রদান করেই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। এ সব পরীক্ষায় পাস করতে হলে আল্লাহ তাআলার তাসবিহ ও নবি-রাসুলদের শেখানো আমল করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁরই শেখানো উল্লেখিত তাসবিহ-তাহলিলসহ তাওবা-ইসতেগফার এবং তাঁরই দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই