ক্বিবলা পরিবর্তনের পর বিশ্বনবির প্রতি আল্লাহর নির্দেশ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৬

বাইতুল মুকাদ্দাসের দিক থেকে বাইতুল্লাহর দিকে ক্বিবলা পরিবর্তনের পর বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনেকেই ক্বিবলা পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। আহলে কিতাবের অনুসারীদের সে সব প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব এবং আল্লহর বিধান পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন বলেন-

‘(হে রাসুল!) আপনি যদি আহলে কিতাবদের নিকট সমস্ত দলিল-প্রমাণও উপস্থিত করেন, তবু তারা আপনার ক্বিবলাকে স্বীকৃতি দিবে না, এবং আপনিও তাদের ক্বিবলার তাবেদার নন; এমনকি তারাও পরস্পর (নিজেদের) ক্বিবলার অনুগত নয় এবং আপনার নিকট যে জ্ঞান এসেছে তারপরও যদি আপনি তাদের (আহলে কিতাবের) ইচ্ছার অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই অত্যাচারীদের অন্তর্ভূক্ত হবেন। ’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৪৫)

আয়াত নাজিলের কারণ
বাইতুল মুকাদ্দাসের দিক হতে ক্বিবলা পরিবর্তনের পর ইয়াহুদি ও নাসারারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান দরবারে হাজির হয়ে প্রশ্ন করে যে, ক্বিবলা পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনার নিকট কি দলিল রয়েছে? তাদের প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন। (তাফসিরে মাজহারি)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুল! ইয়াহুদি ও নাসারারা ভালভাবেই জানে যে, কা’বা-ই (বাইতুল্লাহ) সত্যিকারের ক্বিবলা। তারা আপনার নিকট সকল দলিল-প্রমাণ দাবি করেছে। যদি আপনি তাদের নিকট সকল দলিল-প্রমাণ এবং যাবতীয় বিস্ময়কর নির্দশনও উপস্থিত করেন, তবুও তারা আপনাকে মানবে না; আপনার ক্বিবলাকেও মানবে না।

তারা আপনাকে এ প্রশ্ন করে তাদের ক্বিবলার দিকে টেনে নেয়ার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে; অথচ তা কখনোই সম্ভব নয়। আর তারা নিজেরাও একে অন্যের ক্বিবলাকে মেনে নেয় না। কেননা, ইয়াহুদিরা বাইতুল মুকাদ্দাসের ‘সাখরাকে’ ক্বিবলা মানে। আর নাসারারা (খ্রিস্টান) বাইতুল মুকাদ্দাসের পূর্বদিককে ক্বিবলা মানে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করার লক্ষ্যে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনার নিকট সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণ উপস্থিত থাকার পরও যদি আপনি তাদের অন্যায় আচরণের অনুসরণ করেন; তারা হিদায়াত লাভ করবে এ আশায় তাদের ক্বিবলা (মেনে নেন) তবে এমন অবস্থায় আপনিও জালেমদের অন্তর্ভূক্ত হবেন। (খোলাসাতুত তাফসির)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন ও হাদিসের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ এবং বাইতুল্লাহকে সকল সন্দেহ ও সংশয়ের উর্ধ্বে থেকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি ও আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক ক্বিবলা মেনে ইবাদাত-বন্দেগিসহ ও তাঁর যাবতীয় হুকুম-আহকাম যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।