ফিতরা গ্রহণের উপযুক্ত যারা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২৫ মার্চ ২০২৫
খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ঈদুল ফিতরের দিন ফিতরা আদায় আবশ্যক করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোজাদারের অনৰ্থক কথাবার্তা ও অশালীন আচরণের কাফফারাস্বরূপ এবং গরিব-মিসকিনদের আহারের সংস্থান করার জন্য ফিতরা ফরজ করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে তা পরিশোধ করে আল্লাহর কাছে তা গ্ৰহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পর তা পরিশোধ করে, তাও দানসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি দান। (সুনানে আবু দাউদ: ৬৩০)

বিজ্ঞাপন

ঈদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, ব্যবসাপণ্য, বসবাস ও খোরাকির জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জমি, বসবাসের অতিরিক্ত বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র) মালিক থাকে, তার ওপর ওয়াজিব হয় তার নিজের পক্ষ থেকে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে সম্পদশালী হলে তার ফিতরা তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তবে বাবা চাইলে নিজের সম্পদ থেকেও তা আদায় করে দিতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যাদের ফিতরা দেওয়া যাবে

যেসব দরিদ্র ব্যক্তিরা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত, তারা ফিতরাও গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন এমন দরিদ্র ব্যক্তি, ভিক্ষুক ও ঋণগ্রস্তদের ফিতরা দেওয়া যাবে।

নিজের আত্মীয়দের মধ্যে বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, সন্তান ও নাতিপুতিদের ফিতরা দেওয়া যাবে না। যেহেতু তারা অভাবে পড়লে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের সাধারণ সম্পদ থেকেই তাদের সাহায্য করা কর্তব্য, তাই তাদেরকে ফিতরা ও জাকাত দেওয়া যায় না।

এ ছাড়া ভাই-বোন, খালা, ফুফু, মামা, চাচাসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন যদি জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হয় তাহলে তাদেরকে ফিতরা দেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আত্মীয়দের মধ্যে অভাবী কেউ থাকলে তাকেই ফিতরা দেওয়া উত্তম। তাতে একইসাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও ফিতরা আদায় উভয় আমলের সওয়াবই পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, সাধারণ অভাবীদের সদকা করলে তা শুধু সদকা হয়, আর আত্মীয়দের দিলে তা সদকা হয়, আত্মীয়তার হক আদায়ও হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৭৯৪, সুনানে নাসাঈ: ২৫৮২)

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।