ইসলামি সংগীতে শাহ জামানের এগিয়ে চলা
মাহমুদুল হক জালীস
শাহ জামান। আকর্ষনীয় কণ্ঠের অধিকারী। প্রতিভাবান এ শিল্পীর ইসলামি সংগীতের দিকেই ঝোঁক বেশি। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মশালা ও অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীত গেয়েছেন। শৈশবেই শুনে শুনে ইসলামি সংগীতের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন শিল্পী শাহ জামান।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা হিসেবে পরিচিত ভোলার নান্দনিক উপজেলা দৌলতখানে শিল্পী শাহ জামানের জন্ম। ভোলায় জন্ম হলেও বেড়ে ওঠেছেন ঢাকায়। মাদরাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করে ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
ছোটোবেলা থেকেই প্রতিভাবান এই শিল্পীর ইসলামি সংগীতের প্রতি অনেক ঝোঁক ও অসীম ভালোবাসা ছিল। তাই তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মশালা এবং অনুষ্ঠানে অংশ করতেন। এভাবে সংগীতের সঙ্গে লেগে থাকায় একটা সময় তাকে সংগীতের পথে থাকার সাহস জোগায়। শুনে শুনে গেয়ে গেয়ে শিখতে থাকেন সংগীত।
এক সময় পারিবারিক দায়-দায়িত্ব ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যস্ততায় আটকা পড়ে যায় তার সংগীত চর্চা। শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ব্যস্ততার দরুন সংগীতের জন্য আর সময় করতে পারেননি তিনি। তবে অবসরে গলা ছেড়ে সুর না ধরতে পারলেও গুণগুণ করে গাইতেন সব সময়ই। কারণ সংগীতই যেন বরাবরই তার কর্মস্পৃহা বাড়ার উপকরণ হিসেবে কাজ করছিল। এমনকি অবসর সময়ের চিরসুন্দর বিনোদন হিসেবেও ইসলামি সংগীতকে আঁকড়ে ধরতেন। এভাবেই চলতে থাকে তার জীবন।
অবশেষে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে যখন ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুটা গুছিয়ে নিতে সক্ষম হন তখনই আবার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেন। যার ফলশ্রুতিতে শুরুতেই ‘রমজান এলো আবার’- শিরোনামে একটি ইসলামি সংগীত গাইলেন। এরপর ‘ঈদ মুবারাক ঈদ’ নামেও একটি গান সম্পন্ন করেন। এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে একের পর এক ইসলামি গান রিলিজ হতে থাকে তার।
সর্বশেষ করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান জানিয়েও ‘খোলা হোক শিক্ষাঙ্গন’-শিরোনামে একটি নাশিদ গেয়েছেন। সুরে সুরে চমকপ্রদ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। এ গানে শিক্ষার্থীদের মনের কিছু কথাও ওঠে এসেছে। গানটির কথা লিখেছেন শিক্ষক ও গীতিকবি শাহানারা বেগম ইমা।
সুস্থ ধারার এ সাংস্কৃতি চর্চায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পী শাহ জামান। সুস্থ সংস্কৃতি উপহার দিতে ইসলামি সংগীতের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে লেগে থাকার প্রতাশ ও স্বপ্ন দেখেন শিল্পী শাহ জামান।
এমএমএস/এএসএম