হজ ও ওমরায় জড়িতদের জন্য সৌদি বাদশাহর সহায়তা ঘোষণা
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বাষির্ক হজ ও ওমরাহর কাজে জড়িতদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বার্ষিক হজ ও ওমরাহর কাজে জড়িত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দিতে প্রণোদনা ঘোষণা করেন খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ সালমান। খবর আরব নিউজ।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) তথ্য মতে, রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে ৬টি সুনির্দিষ্ট খাতে এ সুবিধা দেবে সৌদি সরকার। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী যারা বার্ষিক হজ ও ওমরাহ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তারা এ সুবিধা পাবেন। সুবিধাগুলো হলো-
> মক্কা এবং মদিনায় আবাসন সুবিধাগুলো সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা এক বছরের জন্য পৌরসভার বার্ষিক লাইসেন্স ফি থেকে অব্যাহতি পাবেন।
> হজ ও ওমরাহর কাজে জড়িত সংস্থাগুলোর বিদেশিরা ৬ মাসের জন্য তাদের ফি প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড় পাবে।
> পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বছরের জন্য বিনা খরচে মক্কা-মদিনার আবাসন লাইসেন্স নবায়ন করার সুযোগ পাবে। তবে এ সুবিধা আরও বাড়ানো হতে পারে।
> হজ ও ওমরাহ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রবাসীরা তাদের আবাসিক অনুমোদন (আকামার) নবায়ন ফি প্রদানে ৬ মাসের সুযোগ পাবে। এ নবায়ন ফি ১২ মাসের কিস্তিতে দেয়ারও সুযোগ পাবে।
> হাজিদের যাতায়াতের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে বাস (পরিবহন) সরবরাহ ও পরিচালনা করেন, তাদের এক বছরের লাইনেন্স নবায়ন (ইস্তেমারা) ফি এবং নতুন বাসের জন্যও লাইসেন্স ফি প্রদানে তিন মাসের সময় পাবে। নির্ধারিত তারিখ থেকে চার মাসে এ ফি প্রদান করার সুযোগ পাবে।
> মহামারি করোনার ভাইরাসের প্রভাব থেকে সহায়তায় সৌদি সরকার সর্বোপরি ১৫০টির বেশি সেবা প্রকল্পে ১৮০ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল তথা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। যার ফলে হজ ও ওমরাহর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও কর্মীরা করোনার প্রভাব কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হবে।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থকে মক্কা-মদিনায় আগত হজ ও ওমরাহ পালনকারী এবং ইবাদতকারীদের কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এমন কোনো খবর এখনও রেকর্ড হয়নি।
দুই পবিত্র মসজিদ মক্কা ও মদিনার জেনারেল প্রেসিডেন্সি তথা প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসি বলেন, শুরু থেকেই মহামারি করোনার কারণে যত বেশি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে সবের আলোকে যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় শতভাগ সাফল্য এসেছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা বন্ধ থাকা, বিধি-নিষেধের পরও ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মদিনায় ১ লাখ এবং মক্কায় ৬ লাখ ব্যক্তি ওমরাহ ও ইবাদতে অংশগ্রহণ করেন।
এমএমএস/এএসএম