প্রতিবার দরূদ পড়লেই মিলবে ১০ নেকি
মুমিন মুসলমানের প্রিয় মাস রবিউল আউয়াল। রাসুলের সম্মানে মাসজুড়ে দরূদ আমলে নিজেদের গড়ে তোলা জরুরি। প্রতিবার দরূদ পড়ার মাধ্যমেই অর্জিত হবে রহমতে ভরপুর ১০ নেকি। কেননা এ মাসেই তাশরিফ এনেছেন হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ কারণেই মাসটি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য প্রিয়। মাসটি মানব ইতিহাসে তথা মুসলমানদের জন্য উজ্জ্বলতম অধ্যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে রবিউল আউয়াল খুশির মাস হিসেবেও পরিচিতি। কেননা তিনি এ মাসেই হজরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিয়াল্লাহু আনহার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ মাসেই তিনি মদিনায় হিজরত করেন। এ মাসেই তিনি মদিনায় প্রথম ‘মসজিদে কোবা’ নির্মাণ করেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের মাসটিতে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে বেশি বেশি দরূদ পড়া মুমিন মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত বর্ষণ করবেন; তার ১০টি গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তার জন্য রহমতের ১০টি দরজা খুলে দেয়া হবে।’ (মুসনাদে আহামদ, নাসাঈ)
শুধু তা-ই নয়, সপ্তাহের সেরা ইবাদতের দিন ইয়াওমুল জুমআয় বেশি বেশি দরূদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা প্রতি জুমআয় আমার ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়। কারণ আমার উম্মতের দরূদ পাঠ প্রতি জুমআয় আমার কাছে পেশ করা হয়। যে ব্যক্তি বেশি দরূদ পাঠ করে; সে মর্যাদার দিক থেকে আমার কাছে বেশি নিকটে হয়ে থাকে।’ (বায়হাকি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, বিশ্বনবির আদর্শ বাস্তবায়ন ও অনুপ্রেরণা লাভের মাসে বেশি বেশি দরূদ পড়ে ঈমানি ও আমলি জীবনের প্রতি ধাবিত হওয়া জরুরি।
ছোট-বড় অনেক দরূদ রয়েছে। যদি কেউ বড় দরূদে ইবরাহিম বা দরূদে উম্মি পড়তে না পারেন, তবে ন্যূনতম সালাত ও সালামের এ ছোট্ট অংশটুকু পড়ে নেয়ার মাধ্যমে ঘোষিত ফজিলত লাভে ধন্য হতে পারে। তাহলো-
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّم
‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রবিউল আউয়াল মাসজুড়ে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবেসে বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। প্রতিবার ১০টি করে নেকি ও রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর