আয়-উপার্জনে মুমিনের কাজ কী?
মানুষের জীবন পরিচালনায় জীবিকা উপার্জনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সে কারণেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী জীবিকার জন্য পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া মানুষের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মানুষের রিজিকদাতা হলেন মহান আল্লাহ। তবে আল্লাহ রিজিক অন্বেষণের এ দায়িত্ব বান্দার উপর অর্পণে করেছেন। আল্লাহ মানুষকে খাওয়াবেন, পরাবেন এ চিন্তায় ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। কেননা কুরআনুল কারিমে রিজিকের সন্ধান করার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে-
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيراً لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমআ : ১০)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁরই কাছে প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ চাওয়ার কথা এভাবে তুলে ধরেছেন-
الَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوا عِندَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
‘তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করছ, তারা তোমাদের রিজিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিজিক তালাশ কর, তাঁর ইবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা ফিরে আসতে হবে।’ (সুরা আনকাবুত : আয়াত ১৭)
সুতরাং আয়-উপর্জনের জন্য মুমিন মুসলমানের করণীয় হলো- আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় জীবিকার সন্ধানে নেমে পড়া জরুরি। কোনোভাবেই ঘরে বসে খাবার পাওয়া যাবে এ আশায় অলস বসে থাকা মুমিনের কাজ নয়। মুমিনের করণীয় সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন জীবিকার অন্বেষণ ছেড়ে (ঘরে) বসে না থাকে।’ (কানজুল উম্মাল)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী বৈধ পন্থায় জীবিকা কিংবা আয়-উপার্জনের জন্য বসে না থেকে জমিনে ছড়িয়ে পড়া। আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী জমিনে কাজে নেমে পড়া। জীবিকার উপার্জনের জন্য যথাযথ পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নির্দেশিত পন্থায় আয়-উপর্জন করার তাওফিক দান করুন। জীবিকা ও আয়-উপর্জনের জন্য যথাযথ পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর