মিনায় বিধি মেনেই হাজিদের জীবাণুমুক্ত কংকর নিক্ষেপ সম্পন্ন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২০

রামি আল-জামারাত। শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ হজের অন্যতম কাজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবাণুমুক্ত কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে মিনার কার্যক্রম সম্পন্ন করল হাজিরা। খবর আরব নিউজ।

সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্য মতে আরব নিউজ জানায়, ‘১০ জিলহজ শুক্রবার থেকে শুরু হয় কংকের নিক্ষেপ কার্যক্রম। সে দিন কংকর নিক্ষেপ করেই হজে অংশগ্রহণকারী কুরবানি করে মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে ইহরাম থেকে হালাল হয়েছেন। হজের এ কাজ সম্পন্ন করতে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জীবাণুমুক্ত কংকরও সরবরাহ করেছে এবার।

৩০ জুলাই আরাফাতের ময়দানে হজ সম্পন্ন করে রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করেন। ৩১ জুলাই ভোরে মিনায় এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জীবাণুমুক্ত কংকর নিক্ষেপ করেন হাজিরা। তারপরই কুরবানি সম্পন্ন করে মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হালাল হন। হজের বিধি মোতাবেক আজ ২ আগস্ট শেষ দিন কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে মিনার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তারা।

মিনা প্রান্তরে অবস্থিত ৩টি (জামারাতে) স্থানে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। এটি হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রোকন। ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে ধারাবাহিকভাবে কংক নিক্ষেপ করতে হয়।

উল্লেখ্য ২ আগস্ট পর্যন্ত হজের জন্য এসব রোকনে হজে অংশগ্রহণকারী ছাড়া বিনা অনুমতিতে সবার প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল। আর তা বাস্তবায়নে সৌদি কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার ঘোষণা দেয়। বিনা অনুমতিতে এসব এলাকায় প্রবেশের জন্য অনেককেই ১০ হাজার রিয়াল জরিমানও কার্যকর করা হয়েছিল।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা জীবাণুমুক্ত কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমেই আজ শেষ হচ্ছে এ বছরের মিনার হজের কার্যক্রম। এখন বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য হজের সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হজে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপর ফিরতে হবে যার বাড়ি ও কর্মস্থলে। তবে হজে অংশগ্রহণকারীদের কেউই করোনা আক্রান্ত হয়নি বলে জানাগেছে।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।