কত দিন করা যাবে কুরবানি?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২০

১০ জিলহজ ঈদুল আজহা নির্ধারিত। এ দিনেই বিশ্ব মুসলিম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন। নামাজের পর কুরবানি করে থাকেন। কিন্তু কুরবানিও কি ১০ জিলহজ সম্পন্ন করতে হবে? নাকি কুরবানির জন্য আরও সময় পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হলো-

হ্যাঁ, শুধু ঈদুল আজহার দিনই নয়, বরং ১০ জিলহজ নামাজর পর শুরু হয় কুরবানি করার সময়। এ দিন ছাড়াও আরও দুই দিন কুরবানি করা যাবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কুরবানি করা যাবে। তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কুরবানি বৈধ নয়।' (আলমগীরি)

যদি কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, ১০ ও ১১ জিলহজ সফরে থাকে। তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে।' (আলমগীরি)

তবে কুরবানির সময় প্রসঙ্গে বিখ্যাত গ্রন্থ কুদুরিতে এসেছে, 'ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কুরবানি করা বৈধ নয়। কিন্তু যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমআর নামাজ বৈধ নয় বা ব্যবস্থা নেই, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কুরবানি করা বৈধ হবে।' (কুদুরি)

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরবানির সময় তিন দিন। যারা কোনো কারণে কুরবানি করতে পারেননি, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিন তথা ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে কুরবানি করার সুযোগ রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানির জন্য নির্ধারিত পশু জবেহ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।