যে তাকবির ও তালবিয়ায় মুখরিত পুরো দুনিয়া

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ২৯ জুলাই ২০২০

তাকবিরে তাশরিক ও তালবিয়ায় মুখরিত হজের স্থান মক্কা, মিনা, আরাফা, মুজদালিফাসহ পুরো দুনিয়া। আরব বিশ্বসহ অনেক দেশেই জিলহজ মাসের শুরু থেকেই বাড়ির সামনে কিংবা শফিংমলে তাকবিরে তাশরিকের সাউন্ড বাজছে অবিরাম।

মহান আল্লাহ তাআলা হজের মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য তাকবিরে তাশরিক ও তালবিয়া পাঠকে আবশ্যক করেছেন। আইয়ামে তাশরিকে ৫ দিন তাকবিরে তাশরিক প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১ বার পড়া ওয়াজিব। আর হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য তালবিয়া ও তাকবিরা দুটিই পড়া আবশ্যক।

হজের সফরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম তালবিয়া ও তাকবির দুটোই পড়েছেন। ২৯ জুলাই বুধবার থেকে শুরু হয়েছে হজের মূল কার্যক্রম। হজপালনকারী আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের উদ্দেশ্যে মিনামুখী। তালবিয়ার লাব্বাইক ধ্বনি ও তাকবিরের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হবে পুরো মক্কা নগরী, মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।

সারা দুনিয়ার মানুষ হজের মাস জিলহজের ১৩ তারিখ পর্যন্ত এ তাকবির ও তালবিয়ায় মুখরিত রাখবে পুরো দুনিয়া। ঘোষণা করবে আল্লাহর বড়ত্ব। আল্লাহকে জানাবেন তার স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার কথা।

তাকবিরে তাশরিক
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : ’আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’

১৪৪১ হিজরির তাকবিরে তাশরিক শুরু হবে ৯ জিলহজ মোতাবেক ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ফজর থেকে ১৩ জিলহজ মোতাবেক ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।

তালবিয়া
পুরো তালবিয়াকে ৪ ভাগে (নিঃশ্বাসে) ৩ বার পাঠ করা। তালবিয়া ও তাকবির আরবিতেই পড়তে হবে-
لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ
لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ
اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ
لاَ شَرِيْكَ لَكَ

তালবিয়ার উচ্চারণ
> লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক,
> লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক,
> ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক,
> লা শারিকা লাক।

তালবিয়ার অর্থ
>> আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত!
>> আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই।
>> নিঃসন্দেহে সব প্রশংসা ও সম্পদরাজি তথা নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্যও আপনার।
>> আপনার কোনো অংশীদার নেই।
হজের সব রোকনগুলোতেই উচ্চ স্বরে হাজিগণ (নারীরা নিচু স্বরে) তালবিয়া পাঠ করবেন। যেসব দিন ও স্থানে তালবিয়া পাঠ করতে হবে তাহলো-
>> আরাফাতের ময়দানে।
>> মিনায়।
>> মুজদালিফায়।
>> হজ ও ওমরার এক রোকন থেকে অন্য রোকনের মধ্যবর্তী সময়ে তালবিয়া পড়া।
>> উঁচু স্থানে আরোহন কিংবা নিচে নামার সময় তালবিয়া পড়া।

এক কথায় হজের সফরে সার্বক্ষণিক ওঠা-বসা, ঘুমাতে যাওয়া, ঘুম জেগে ওঠার পর কিংবা স্বাভাবিক চলাফেরাসহ প্রত্যেক ফরজ ও নফল নামাজের পর বেশি বেশি তালবিয়া ও তাকবির পড়া।

হজ ছাড়াও সারা দুনিয়ার মুমিন মুসলমানের জন্য ৯-১৩ জিলহজ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১ বার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। একাধিকবার পড়া মুস্তাহাব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব মানুষকে তাকবির এবং হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের তাকবির ও তালবিয়া উভয়টি যথাযথভাবে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।