‘তাকবিরে তাশরিক’ জিলহজের ওয়াজিব আমল
তাকবিরে তাশরিক হজের মাসের অন্যতম আবশ্যক আমল। জিলহজের প্রথম দশক মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দশকে কুরবানিসহ সম্ভব হলে প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা। অন্তত ৯ জিলহজ আরাফাহর দিন রোজা পালন করা। এছাড়া প্রথম দশকের আবশ্যক আমল তাকবিরে তাশরিক পড়া।
তাকবিরে তাশরিক
হজের দিন ৯ জিলহজ ফজর নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক। ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত এ তাকবির পড়তে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ পড়ার পর উচ্চ আওয়াজে ১ বার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। তারপর চলাফেরা, উঠা-বসা তথা সব সময় একাধিক বার পড়া মোস্তাহাব। সাহাবায়ে কেরাম সব সময় তাকবিরে তাশরিক পড়তে থাকতেন।
তাকবিরে তাশরিক হলো-
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
১৪৪১ হিজরির তাকবিরে তাশরিক শুরু হবে ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ফজর ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, তাকবিরে তাশরিকের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি একান্ত কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করা। যিনি বান্দার জন্য জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলো দান করেছেন। নিজেকে মনুষ্যত্বের উত্তমগুণে তৈরি করার সুযোগ দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নির্ধারিত দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিক পড়ে ওয়াজিব আদায় ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর