রোজা পালনকারীরা এখন যে দোয়া বেশি পড়বেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ মে ২০২০

হে আল্লাহ! আমাদের সে অনুগ্রহ দান করুন। যে অনুগ্রহ রমজান জুড়ে দান করেছেন। আমাদের অন্তরকে সে বাঁকা পথ থেকে হেফাজত করুন। যে বাঁকা পথ থেকে আপনি রহমতের চাদর দিয়ে আবৃত করে হেদায়েতের পথে টেনে এনেছেন। আপনিই তো সবচেয়ে বড় দানকারী। রমজানের পর মুমিন মুসলমানের প্রার্থনা এটি।

রমজান মাসজুড়ে মুমিন মুসলমান মহান আল্লাহর রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত ছিলেন। রমজানের পর বাকি ১১ মাসও যেন আল্লাহর রহমত ও তার হেদায়েত লাভে ধন্য হন মুমিন, সে জন্য কুরআনুল কারিমে উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। যে দোয়ায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। আর তাহলো-
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারণ : রাব্বানা লা তুযেগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা; ওয়া হাবলানা মিল্লা দুংকা রাহমাহ; ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্‌হাব।' (সুরা আল-ইমরান : ৮)
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! (হেদায়েতের) সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনের দিকে পরিচালিত করো না। আর তোমার কাছ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান কর। নিশ্চয় তুমিই সব কিছুর দাতা।'

এমনিতে রমজান মাসজুড়ে রোজা পালনের মাধ্যমে রোজাদার পেয়েছেন হেদায়েত। আর তাকওয়ার গুণ লাভ করে হয়েছেন মুত্তাকি। রমজানে মুমিন মুসলমানকে ঈমানদার সম্বোধনে কুরআনুল কারিমের ঘোষণাটিও ছিল এমন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
'হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার।' (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

তাই মুমিন মুসলমান আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক মাসব্যাপী রমজানের রোজা পালন, আমল ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে সচেষ্ট থেকে তাকওয়ার গুণে ধন্য হয়েছেন।

রমজান পরবর্তী সময়েও ঈমানদার বান্দা যেন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সিক্ত হতে পারে সে জন্য সব সময় সুরা আল-ইমরানের এ আয়াত দ্বারা তার কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা ও সাহায্য চাওয়া জরুরি।

তাছাড়া বর্তমানে মহামারি করোনার আক্রমণে পুরো বিশ্ব অচল। সব মানুষই মহান আল্লাহর কাছে এ মরণব্যাধিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তির অপেক্ষায়। মহামারি করোনা ও সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য এক মহা আজাব হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা তার আজাব থেকে মুক্তি লাভে কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন ছোট্ট একটি দোয়া। এ দোয়াটিও বেশি বেশি পড়া জরুরি। যে দোয়ায় মহান আল্লাহ মুমিন বান্দাকে সব আজাব থেকে হেফাজত করবেন। আর তাহলো-
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।'
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।' (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। রমজানের পরও কুরআনে হেদায়েত ও মুত্তাকির গুণে রঙিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। মহামারি করোনাসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পুরো বিশ্বকে হেফাজত করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।