মসজিদ বন্ধ হওয়ায় বাড়িতেই হেফজখানা খুললেন এক হাফেজ!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ০৫ মে ২০২০

প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী অচল। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রায় সব দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ। তাই বাড়িতে অলস বসে না থেকে বিশেষ সতর্কতায় পরিবারের সন্তানদের জন্য নিজ বাড়িতেই হেফজখানা খুললেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দা হাফেজ আতেফ আন-নাজ্জার।

আনাদোলু এজেন্সি আরবির তথ্য মতে, হাফেজ আন-নাজ্জার একটি মসজিদে স্থানীয় শিশুদের পবিত্র কুরআন শেখাতেন। মহামারি করোনার কারণে অন্যান্য দেশের মতো গাজার সব মসজিদ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থগিতের এ সময়ে অলস বসে না থেকে বাড়িতেই নিজের সন্তান ও ভাইদের সন্তানদের নিয়ে কুরআন শিক্ষায় নিয়োজিত হন। নিজের বসতঘরই যেন পরিণত হলো ছোট একটি মাদরাসায়। মহামারি করোনার এ সময়কে সুযোগ মনে করে এসব শিশুকে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করাচ্ছেন তিনি।

আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নিজ ঘরকে অস্থায়ী হেফজখানা বানালেও পরিবারের শিশুদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করছি। ঘরেই রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনের সব সুবিধা। সুস্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে এ হেফজখানা। এসব কিছু মাথায় রেখেই পরিবারের শিশুদের কুরআন শেখাচ্ছি।

অল্প কিছু দিনেই আমার পরিবারের কয়েকটি শিশু কুরআনুল কারিমের বেশ কিছু সুরা ইতিমধ্যে হেফজ সম্পন্ন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ!

হাফেজ আতেফ আন-নাজ্জার আরও জানান, পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি আমার নিয়মিত ছাত্ররা যেন বাসায় অনর্থক সময় নষ্ট না করে সেজন্য অনলাইনে তাদের জন্য শিক্ষাগ্রহণের সুবিধাও হাতে নিয়েছি। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব যতদিন থাকবে ততদিন নিজ ঘরের পাশাপাশি নিয়মিত ছাত্রদের অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখবো।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ থেকে গাজায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করে দেশটির সরকার। কয়েকটি অপেক্ষার পর অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় পরিবারের শিশুসন্তানদের জন্য নিজ বাড়িকেই হেফজখানা বানালেন এ ফিলিস্তিনি শিক্ষক।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।