মসজিদ-মন্দির-গির্জাসহ একই স্থানে ১৮ উপাসনালয়!

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। মসজিদ, মন্দির, চার্চসহ ১৮টি অমুসলিম উপাসনালয়ের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে। বিশ্বের সব ধর্মের লোকদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ‘আবরাহামিক ফ্যামিলি হাউজ’ নামে এক প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে দেশটি। খবর গালফ নিউজ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইতিপূর্বে অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় স্থাপনের আইনি বৈধতা ছিল না। তাই একই স্থানে ‘আবরাহামিক ফ্যামিলি হাউজ’ নামে মসজিদ, মন্দির, চার্চসহ অমুসলিমদের জন্য ১৮টি অমুসলিম প্রার্থনাস্থল নির্মাণ করবে। আর তা ২০২২ সালে সম্পন্ন হবে। এটিকে তারা যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

‘আবরাহামিক ফ্যামিলি হাউজ’ নামে একই স্থানে সব ধর্মের উপাসনালয় তৈরিতে তারা ৩ বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনা গ্রহণে নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানসহ আমিরাতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Worship-1

গত সোমবার এক বিবৃতিতে আবুধাবির কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট দফতর সূত্রে জানা গেছে, ‘সব ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলের দৈনন্দিন কাজে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবুধাবি প্রশাসন। আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এই অনুমোদন দেয়া হবে। এই তালিকায় রয়েছে মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

এতদিন পর্যন্ত আবুধাবিতে অমুসলিম ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলোর কোনো আইনি বৈধতা ছিল না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মসজিদের পাশাপাশি মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

সরকারি একটি চ্যানেলের আওতায় আনার জন্য ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সরকারের ধর্মবিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে বিশেষ পরিষেবা দিতে পারবে বলে আশা করছেন তারা।

একই সঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোর কোনো বিশেষ প্রয়োজন হলে তারাও এই চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। ফলে জনগণ বা কোনো ব্যক্তি নতুন ধর্মীয় স্থান তৈরি বা সংশ্লিষ্ট পরিষেবা শুরু করতে চাইলে এই দফতরে আবেদন করতে হবে।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।