হজ পালনে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে নিহতদের স্বজনরা মক্কায় পৌঁছেছেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর ও লিনউড মসজিদের হামলায় শহিদ পরিবারের ২০০ সদস্য হজ পালনে মক্কায় পৌঁছেছেন। জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। খবর আরব নিউজ।

গত শুক্রবার (০২ আগস্ট) নিউজিল্যান্ডের শোকাহত পরিবার জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উচ্চ স্থানীয় কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।

পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক কর্নেল সালমান ইউসুফ ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জেমস মনরোও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাদশাহ সালমানের এ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ আন্তরিকতা ও সহানুভূতির সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত জেমস মনরো।

গত মাসে বাদশাহ সালমান নিউজিল্যান্ডের বন্দুক হামলায় শহীদ হওয়া ৫১ জন ব্যক্তির পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের বিশেষ আয়োজনে হজ করানোর ঘোষণা দেয়।

Haj-1

শুধু হজে গমনকারীরা নয়, বরং নিউজিল্যান্ড সরকার ও দেশটির মানুষ সৌদি বাদশাহ সালমানের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এদিকে সৌদি আরবের দাওয়াহ, নির্দেশনা ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. শাইখ আবদুল লতিফ আল-শেইখ বলেন, বাদশাহ সালমান হারামাইন শরিফাইনের অতিথিদের দিক-নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান ও সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধীদের মোকাবেলার জন্য আমরা এসব ভাই-বোনদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। মূলত তাদের মনোকষ্ট দূর করতে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে সরকার এই উদ্যোগ।

উল্লেখ্য যে, গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাংগ ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে নিরাপরাধ ৫১ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।