যে হজ করলে মুমিনের অভাব ও গোনাহ থাকবে না
হজ ও ওমরা আলোকিত জীবন লাভে মুমিন মুসলমানের অন্যতম ইবাদত। এ ইবাদত পালনে রয়েছে উপদেশ ও নির্দেশ। অভাবি ও পাপী ব্যক্তির জন্য সফলতার অন্যতম উপাদানও হজ-ওমরা। হাদিসে পাকে বিশ্বনবির ঘোষণাও এমন।
অভাব ও পাপমুক্ত জীবন যাপনে বিশ্বনবির কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
>> হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা পরস্পর (হজ সম্পাদনের পর ওমরা অথবা ওমরা সম্পাদনের পর হজ) পালন করবে। কেননা তা (হজ ও ওমরা) অভাব-অনটন ও পাপকে দূর করে দেয়, যেমন (কামারের) হাপর লোহার মরিচা দূর করে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ)
>> হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা হজ ও ওমরা একটার পর একটা (হজের পর ওমরা অথবা ওমরার পর হজ) আদায় করবে। কেননা তা (হজ ও ওমরা) অভাব ও গোনাহ দূর করে দেয়, যেভাবে হাপর লোহা, সোনা, রূপার ময়লা দুর করে দেয়। আর মাহরূর হজের বিনিময় জান্নাত ব্যতিত আর কিছুই নয়।’ (ইবনে মাজাহ)
মুমিন মুসলমানদের জন্য রয়েছে ৩ প্রকারের হজ। উল্লেখিত ফজিলত লাভে তামাত্তু ও কিরান হজের বিকল্প নেই। আর বাকি থাকে একটি হজ। যারা ওমরা ছাড়া শুধু হজই সম্পাদন করেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে হজ ও ওমরা তথা হজে কিরান ও তামাত্তু আদায় করার মাধ্যমে অভাব ওগোনাহমুক্ত জীবন লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ