শফিকের ক্যালিগ্রাফিতেই ৩০ বছর ধরে সাজছে মসজিদে নববি

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৭ জুন ২০১৯

মসজিদে নববি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজ হাতে গড়া মসজিদ। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফিতে এ মসজিদকে সাজ-সজ্জায় আলোকিত করছেন ওস্তাদ শফিক উজ জামান। যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার। খবর দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম।

মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি করার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য ছাত্র তার কাছে শিখেছেন আরবি ক্যালিগ্রাফি। তাইতো তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওস্তাদ। এ কাজের কারণে বিশ্বব্যাপী তিনি পেয়েছেন সম্মান, খ্যাতি ও মানুষের ভালোবাসা।

পাকিস্তানি নাগরিক শফিক উজ জামান ৪০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন। সৌদির প্রথম জীবনে তিনি ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন।

Madina-1

৩০ বছর আগে মসজিদে হারামের ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতাই তার জীবনকে বদলে দেয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হওয়ায় মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি আঁকার জন্য নির্বাচিত হন শফিক।

শফিক উজ জামানকে সুন্দর আরবি লেখা ও সুস্পষ্ট কথা বলার জন্য সৌদি আরবের বাসিন্দারাও তাকে সৌদি নাগরিক মনে করতো। যখনই তারা শুনে যে, শফিক পাকিস্তানের নাগরিক তখনই তারা চমকে যায়।

Madina-2

মদিনার মসজিদে নববি আরবি ক্যালিগ্রাফিতে সুসজ্জিত। ওস্তাদ শফিক উজ জামান মসজিদে নববির ১৭৭টি স্তম্ভের ক্যালিগ্রাফি করেছেন। মসজিদে নববির প্রায় অধিকাংশ ক্যালিগ্রাফিই ওস্তাদ শফিক উজ জামানের হাতে অলংকৃত।

ছোট বেলা থেকে শফিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতেছেন। সেসব প্রতিযোগিতাই তাকে হারামের প্রতিযোগিতায় সাফল্য এনে দেয়।

Madina-3

জীবনের এ দীর্ঘ সময় মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফিতে অতিবাহিত করতে পেরে শফিক উজ জামান নিজেকে সুখী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি করে তিনি শান্তি ও সুখ দুটিই পেয়েছেন।

Madina-4

ওস্তাদ শফিক উজ জামানের হাতে আঁকা কুরআনের ক্যালিগ্রাফি মসজিদে নববির দেয়াল, স্তম্ভ ও গম্বুজে শোভা পাচ্ছে দেখে তার দেহ মন খুশিতে ভরে ওঠে। দুনিয়ার সেরা পরিতৃপ্তি লাভ করেন। নিজেকে দুনিয়ার সেরা সুখী মানুষ ভাবেন তিনি।

ওস্তাদ শাফক উজ জামানের এ বিরল অর্জন ও পরিশ্রমকে আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।