অসুস্থতায় যারা রোজা রাখেননি তাদের ফিদিয়া কী?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ০৯ জুন ২০১৯

প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমানের ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ। এটা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ বিধান। কিন্তু যারা বার্ধক্যজনিত কিংবা অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে অপারগ হয়, তবে তাদের করণীয় বা ফিদিয়া কী?

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি (রোজা রাখা) যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৪)

সক্ষম ব্যক্তির রোজার ফিদিয়া
রোজা রাখতে সক্ষম কোনো ব্যক্তি যদি অসুস্থতার কারণে অথবা সফরের কারণে রোজা রাখতে অপারগ হয় তবে তার ফিদিয়া হলো- রোজার পর সুস্থ হয়ে কিংবা সফর শেষ করে ভাংতি রোজাগুলো পালন করবে।

অক্ষম ব্যক্তির রোজার ফিদিয়া
যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান বার্ধক্য বা অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে অক্ষম হন এবং পুনরায় সুস্থ হয়ে বা সক্ষমতা ফিরে পেয়ে রোজা আদায় করার সম্ভাবনাও না থাকে, সে ব্যক্তির প্রতিটি রোজার জন্য একজন (প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান) মিসকিনকে খাবার দান করবে।

ফিদিয়া ও এর পরিমাণ সম্পর্কে ইসলামি গবেষকদের বিশ্লেষণ
>> প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ সদকা দেয়া আবশ্যক। একজন অসহায় ব্যক্তিকে পেট ভরে দু’বেলা খাবার খাওয়ানো।
>> সদকাতুল ফিতরের সমান তথা কমপক্ষে ১ কেজি ৬৩২.৯৬ গ্রাম গম বা তার মূল্য অথবা ৩ কেজি ২৬৫.৯২ গ্রাম জব, খেজুর, পনির ও কিসমিস বা তার মূল্য গরিবকে দান করা।

এটাকেই অক্ষম ব্যক্তির রোজা ফিদিয়া হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যারা অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারেনি বা সুস্থ হয়ে রোজা রাখার সম্ভাবনাও নেই, তাদের প্রতিটি রোজার জন্য এ হিসেবে ফিদিয়া দেয়া আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে
অক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তি দেরিতে হলেও সুস্থ হয় এবং রোজা রাখার শক্তি অর্জন করে তবে, ওই ব্যক্তির ওপর রোজার কাজা আদায় করা আবশ্যক হয়ে যাবে। আর ভাংতি রোজার জন্য ইতিপূর্বে ওই ব্যক্তি যে ফিদিয়া দান করেছিল তার জন্য সে পৃথক সাওয়াব পাবে।

ফিদিয়া দেয়ার সময়
রমজানের রোজা শুরু হওয়ার সময়ে কিংবা রমজানের পরে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। রোজা শুরু হয়ে গেল কিংবা রমজানের চাঁদ দেখা গেল কিন্তু রোজা রাখার শারীরিক সক্ষমতা নেই, ওই ব্যক্তি সেদিন থেকেই মিসকিনকে ফিদিয়া দিতে পারবে অথবা রমজানের পরেও আদায় করতে পারবে।

তবে রমজানের রোজার ফিদিয়া রমজান আসার আগে অগ্রীম আদায় করা যাবে না। কেননা রমজানের আগে ওই ব্যক্তির সুস্থ হওয়া কিংবা রোজা রাখার সক্ষমতাও ফিরে পেতে পারে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অসুস্থ কিংবা বার্ধক্যে উপনীত ব্যক্তিদের রোজার ফিদিয়া যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।