আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে যে দোয়া পড়বেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ২৯ মে ২০১৯

দুনিয়া পরকালের আবাদভূমি। মানুষ এখানে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেই পরকালে লাভ করবে সফলতা। তাই বান্দার উচিত, সব সময় গোনাহমুক্ত জীবন-যাপন করা। কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন সাজানো।

দুনিয়া অন্তরে দোষ-ত্রুটি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করা।

আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বেশি বেশি পড়ুন-

اَللَّهُمَّ اغْسِلْنِى فِيْهِ مِنَ الذُّنُوْبِ وَ طَهِّرْنِى فِيْهِ مِنَ الْعُيُوْبِ وَامْتَحِنْ قَلْبِىْ فِيْهِ بِتَقْوَى الْقُلُوْبِ يَا مُقِيْلَ عَثَرَاتِ الْمُذْنِبِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগসিলনি ফিহি মিনাজ্জুনুবি, ওয়া ত্বাহ্‌হিরনি ফিহি মিনাল উয়ুবি; ওয়াম্‌তাহিন ক্বালবি ফিহি বিতাক্বওয়াল কুলুবি; ইয়া মুক্বিলা আছরাতিল মুজনিবিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমার সব গোনাহ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তোমার ভয় অন্তরে পোষণ করার মাধ্যমে আমার অন্তরকে সব পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।

রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহর কাছে জান্নাতের নেয়ামত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির আশায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও আমলের বিকল্প নেই। রোজাদারের জন্য কুরআনের হেদায়েতই সর্বোত্তম নেয়ামত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপন করার পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।