ক্ষমার দশকে কল্যাণ লাভে যে দোয়া পড়বেন
ক্ষমার দশক বয়ে যায়। গোনাহ মাফের মাধ্যমেই মানুষের দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ সাধিত হয়। তাই ক্ষমা দশকে গোনাহ মাফ করানোর পাশাপাশি দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে আল্লাহর কাছে ধরণা দেয়া জরুরি।
মাগফেরাত লাভের সঙ্গে কল্যাণ ও বরকত লাভে বেশি বেশি পড়ুন-
اَللَّهُمَّ وَفِّرْ فِيْهِ حَظِّىْ مِنْ بَرَكَاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبِيْلِىْ إلَىْ خَيْرَاتِهِ، وَلَا تَحْرِمْنِىْ قَبُوْلَ حَسَنَاتِهِ، يَا هَادِيًا إلَىْ الْحَقِّ الْمُبِيْنِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ওয়াফ্ফির ফিহি হাজজি মিন বারাকাতিহি; ওয়া সাহ্হিল সাবিলি ইলা খায়রাতিহি; ওয়া লা তাহরিমনি কুবুলা হাসানাতিহি; ইয়া হাদিয়ান ইলাল হাক্কিল মুবিন।
আরও পড়ুন > তারাবিহ নামাজের নিয়ত ও দোয়া
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে সুস্পষ্ট সত্যের পথ-নির্দেশকারী।
রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আরও পড়ুন > পুরো রোজায় যে বিশেষ দোয়াগুলো পড়বেন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফেরাত লাভের পাশাপাশি বরকত ও কল্যাণ লাভের জন্য নিজেকে গোনাহমুক্ত করার তাওফিক দান করুণ। গভীর রাতে আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে রোনাজারি করার তাওফিক দান করুন। রহমত ও কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন।
এমএমএস/এমকেএইচ