বিশ্বময় ইসলামের বিজয়ে প্রিয়নবির ভবিষ্যদ্বাণী

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

কুরআনুল কারিমের সুরা আল-ইমরানের ১২নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘(হে রাসুল!) আপনি অবিশ্বাসীদের বলে দিন, অচিরেই বিজয় আসবে আর তোমরা জাহান্নামে একত্রিত হবে। জাহান্নাম আবাসস্থল হিসেবে কতই না মন্দ!।’

পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তরে ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে এমন ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন বিশ্বনবি। তিনি বলেছিলেন মুসলিমরা সমুদ্রের বুক চিরে ইসলামের বিজয় পতাকা নিয়ে ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়। কুরআন এবং হাদিসে প্রিয়নবির সে ভবিষ্যদ্বাণী সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে।

তাফসিরে ইবনে কাসিরে ইসলামের বিশ্ব বিজয়ের কথা এসেছে এভাবে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহার মা হজরত উম্মে ফজল রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, এক রাতে মক্কাবাসীকে লক্ষ্য করে মক্কা নগরীতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চ স্বরে বলতে লাগলেন-
- হে লোকেরা! আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছি?
- হে লোকেরা! আমি কি তোমাদের তাবলিগ করেছি?
- আমি কি তোমাদের কাছ আল্লাহর একত্ববাদ এবং আমার রেসালাতের পয়গাম পৌঁছে দিতে পেরেছি?

তখন হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন-
‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি অবশ্যই আমাদের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌঁছে দিয়েছেন।
পরদিন সকালে প্রিয়নবি (বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিজয়ের কথা) ঘোষণা করলেন, ‘তোমরা সবাই শোন!-
- একদিন ইসলামের বিজয় হবে।
- ইসলামের প্রচার হবে অত্যন্ত বেশি।
- কুফরের (অবিশ্বাসের) অমানিশা (অন্ধকার) কেটে যাবে।
- (এমনকি) অন্ধকার যুগের অবসান ঘটবে।

(সর্বোপরি)-
‘ইসলামের পয়গাম (বিজয় নিশান) নিয়ে সমুদ্রের বুক চিরে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়বে (মুসলিম উম্মাহ) এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারে (তারা) বিশ্বব্যাপী আত্মনিয়োগ করবে।’

তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে-
এমন সময়ও আসবে যখন মানুষ (অহংকারের সঙ্গে) কুরআন কারিম শিক্ষা করবে, তেলাওয়াত করবে। আর বলবে, আমি ক্বারি, আমি আলেম, আমার থেকে বড় কে? প্রিয়নবি (উপস্থিত লোকদেরকে) জিজ্ঞাসা করবে, ‘এ লেঅকদের মধ্যে কি কোনো কল্যাণ থাকবে?

উপস্থিত লোকেরা প্রিয়নবিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ লোকদের পরিচয় কী? তখন তিনি ইরশাদ করলেন, ‘তারা তোমাদের মুসলমানদের মধ্য থেকেই হবে। কিন্তু মনে রাখবে, এরা হবে দোজখের ইন্ধন।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

আরও পড়ুন > খায়বার বিজয়ের ঘোষণা এসেছিল যেভাবে

উল্লেখিত হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, একদিন বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে। আবার মুসলিমদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে অহংকারী লোক। যারা ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সতর্কতা
প্রিয়নবি ঘোষিত হাদিসে বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিজয়ের সুসংবাদে যেমন রয়েছে আনন্দ ঠিক তেমনি কুরআন হাদিসের ইলমধারী লোকদের অহংকারের দুঃসংবাদও রয়েছে। হাদিসের শিক্ষানুযায়ী ইসলামকে বিশ্বব্যাপী বিজয়ী করতে নিজেদের অংশগ্রহণ যেমন জরুরি ঠিক তেমনি অহংকার থেকে মুক্ত থাকাও ঈমানের একান্ত দাবি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের বিজয় নিশান উড্ডীন করতে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনার পাশাপাশি ইসলাম ও কুরআন নিয়ে অহংকার থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।