গালুয়ার পীর মাওলানা আব্দুল হকের জানাযায় লাখো মানুষের ঢল
প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন ও বুজুর্গ হজরত মাওলানা আব্দুল হক (৯২) গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
দক্ষিণ বঙ্গের পরিচিতমুখ এ প্রবীণ আলেমেদ্বীন ঝালকাঠির রাজাপুরে গালুয়ার পীর নামেই সমধিক পরিচিত। দলমত নির্বিশেষ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধারপাত্র ছিলেন। দক্ষিণ বঙ্গের এ প্রবীণ আলেমের জানাযায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
তিনি দক্ষিণ বঙ্গের আলেম-ওলামাসহ ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের জন্য দীর্ঘকাল প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাদ আছর গালুয়ার নিজ বাড়ির মাদরাসায় মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ-সৌদি সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ বজলুল হক হারুন এমপিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকার মুরব্বিগনসহ দক্ষিনাঞ্চলের সব শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযার আগে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। বক্তব্যে তারা বলেন, ‘হজরত মাওলানা আব্দুল হক ছিলেন একজন সংগ্রামী আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব।
তিনি দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তার মৃত্যুতে ইসলামি অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
বক্তারা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি তার শোকবহুল পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতি-নাতনী, আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য মুরিদান ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সব দল, মতের নেতা-কর্মী, আলেম-ওলামাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
জানাজা শেষে তাকে ঝালকাঠীর রাজপুরের গালুয়ার নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল্লাহ তাআলা দ্বীনের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ