ক্রোয়েশিয়ার বুকে শান্তির প্রতীক রিজেকা মসজিদ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের গণতান্ত্রিক দেশ ক্রোয়েশিয়া। ফুটবলের জন্য ব্যাপক পরিচিত দেশটিতে অল্প সংখ্যক (১.৪%) মুসলিমের বসবাস। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেশটিতে রয়েছে ইসলামিক সেন্টার ও নয়নাভিরাম সুন্দর মসজিদ। মসজিদের ভেতর ও বাইরে, দিন কিংবা রাতের সব দৃশ্যই মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্ত অনুভূতি।

Mosque

ক্রোয়েশিয়ার ব্যয়বহুল শহরে রিজেকা ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদটি অবস্থিত।

ক্রোয়েশিয়ার বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী দুশান ডিজামুঞ্জাকে দিয়ে এ ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদটির ডিজাইন করা হয়েছিল। তিনি অতি সুন্দর একটি ক্ষুদ্র মডেল তৈরি করেছিলেন।

Mosque

পরে সেই ক্ষুদ্র নকশা দেখে স্থপতি ডার্কো ভ্লাহোবি এবং ব্রাঙ্কো ভুয়িনোভি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মিনারসহ নতুনমাত্রা যোগ করেন।

মসজিদটি তারা রাউন্ড গম্বুজ আকৃতিতে তৈরি করেন। এতে একটি রাউন্ড গম্বুজ অন্য গম্বুজের ওপর স্থাপন করেন। তা দেখতে মনে হয় যে মাঠের এক দিক থেকে ওঠে তা অন্য পাশে গিয়ে শেষ হয়েছে।

Mosque

মসজিদের একক মিনারটি শিল্পকর্মের অনন্য সংযোজন। যা দেখতে মনে হয় যেন তা মসজিদটিকে আকাশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছে।

রাতের আলোতে মসজিদটির অন্যরকম সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মসজিদের ভেতরের নকশা দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায়। যা নামাজিদের হৃদয়কে প্রশান্ত করে তোলে।

Mosque

ক্রোয়েশিয়ার ব্যয়বহুল শহর রিজেকার মুসলিম জনসাধারণ ১৯৬৮ সালে প্রস্তাব করে যে, ১০ হাজার মুসলমানের নামাজ পড়ার উপযোগী মসজিদ নির্মাণ করা উচিত।

আরও পড়ুন > মসজিদে নববির সবুজ গম্বুজের অজানা তথ্য

রিজেকের অধিকাংশ মসলিম যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়া-হারজেগোভিনাসহ পাশ্ববর্তী দেশ থেকে এসেছে।

২০১৩ সাল পর্যন্ত রিজেকা ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদ খোলা ছিল না। যা এখন সবার জন্য উন্মুক্ত।

Mosque

১০ হাজার ৮০০ মিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত মসজিদটি। মসজিদটিতে কংক্রিট ও ইস্পাতের তৈরি সুউচ্চ একটি মিনার রয়েছে। পুরো মসজিদটি ৬ টি গম্বুজ ও আধা গম্বুজে আবৃতি।

আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এ মসজিদটি ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরেছে।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।