নিভৃতপল্লীতে বৈশ্বিক চমক কাগতিয়া কামিল মাদরাসা

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

ভৌগোলিকভাবে অবস্থান নীভৃতপল্লীতে হলেও নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে কাগতিয়া কামিল এম এ মাদরাসায়। কাগতিয়া মাদরাসার বাইরের পরিবেশ গ্রামীণ হলেও অভ্যন্তরীণ পরিবেশ শহুরে সব সুবিধায় সমৃদ্ধ। হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর চোখের জলের বিনিময়ে, শ্রমে ঘামে চেষ্টায় এ মাদরাসা এখন এশিয়াখ্যাত। ইসলামী জ্ঞানের প্রচার প্রসারে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এ মাদরাসা।

এ ছাড়াও অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুদক্ষ পরিচালনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ মাদরাসা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা একদিন বিশ্বের বুকে অনন্য নজির হিসেবে স্থাপিত হবে। মাদরাসা সংশ্লিষ্ট সবাই এখন বিশ্বাস করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে একদিন জ্ঞান পিপাসু মানুষ ছুটে আসবে কাগতিয়া মাদরাসার স্বপ্নিল আঙ্গিনায়।

সময়ের প্রয়োজনে এ মাদরাসা যেন নূহ নবীর কিশতির মতো ভেসে চলে কালের পিঠে শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার হয়ে। বিশ্ববাসীর কাছে একদিন এ নিভৃত আঙিনা হবে বৈশ্বিক জ্ঞানের অপার সম্ভাবনার মুখরিত কোলাহলে ভরপুর।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার ৮৭তম এনামী জলসায় বক্তারা এ কথা বলেন।

অতিথিরা আরও বলেন, আধুনিক যুগোপযোগী বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার শৈল্পিক সমন্বয় কাগতিয়া মাদরাসা। একজন শিক্ষার্থীর বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে এ মাদরাসায়। এ রকম অনন্য প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের যে ভূমিকা তা সকলের কাছে অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়।

বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদাররেছীনের মহাসচিব হযতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে এনামী জলসার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ,কে,এম ছায়েফ উল্যা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ্ব মোঃ আবুল হাসান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, চবি গণিত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. জালাল আহমদ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ডাক্তার নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, মুফতি কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, মুহাদ্দিস আল্লামা আশেকুর রহমান, আল্লামা সেকান্দর আলী প্রমুখ।

এদিকে ৮৭তম সালানা জলসা উপলক্ষে অর্ধ কিলোমিটারজুড়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছিল। ভাসমান দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বেচা-বিক্রি করতে দেখা যায় প্রতি বছরের ন্যায়। সভা উপলক্ষে বিশাল আয়তনের মাদরাসা ভবনকে সাজ-সজ্জিত করা হয়েছে।

মাহফিলে বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের বয়ান শুনে অনেকে নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কাগতিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর রূহানী নজর ও ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।

এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।