দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনে ইসলাম কী বলে?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ১৭ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস’ পালিত হয়। ক্ষুধা ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়তে, বিশ্বের মানুষকে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয়ারে লক্ষ্যেই এ দিবসের সূচনা।

আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত থাকতে কাজের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কর্মের প্রতি মানুষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে জাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন। যা সহজেই মানুষকে দারিদ্র্যে কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

এছাড়াও এক গরিব ব্যক্তি তার নিজের ও পরিবারের ক্ষুধার যন্ত্রণায় প্রিয়নবির কাছে খাদ্য চাইলে তিনি গরিব ব্যক্তিকে কাজের বিনিময়ে দারিদ্র দূরীকরণ ও অন্যকে সহযোগিতার উপদেশ ও কর্মনীতি প্রদান করেন।

কবি হাবিবুর রহমানের কবিতা ‘নবীর শিক্ষা’য় তা ফুটে ওঠেছে-

তিন দিন হতে খাইতে না পাই, নাই কিছু মোর ঘরে,
দারা পরিবার বাড়িতে আমার উপোস করিয়া মরে।

নাহি পাই কাজ, তাই ত্যাজি লাজ বেড়াই ভিক্ষা করি,
হে দয়াল নবী, দাও কিছু মোরে নহিলে পরাণে মরি।'

আরবের নবী, করুণার ছবি ভিখারির পানে চাহি,
কোমল কণ্ঠে কহিল, ‘তোমার ঘরে কি কিছুই নাহি?'

বলিল সে, 'আছে শুধু মোর কম্বল একখানি।'
কহিল রসুল, 'এক্ষণি গিয়া দাও তাহা মোরে আনি।'

সম্বল তার কম্বলখানি বেচিয়া তাহার করে,
অর্ধেক দাম দিলেন রসুল খাদ্য কেনার তরে,

বাকি টাকা দিয়া কিনিয়া কুঠার, হাতল লাগায়ে নিজে,
কহিলেন, 'যাও কাঠ কেটে খাও, দেখ খোদা করে কি-যে।'

সেদিন হইতে শ্রম সাধনায় ঢালিল ভিখারি প্রাণ,
বনের কাষ্ঠ বাজারে বেচিয়া দিন করে গুজরান।

অভাব তাহার রহিল না আর, হইল সে সুখী ভবে,
নবীর শিক্ষা ক'রো না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে জ্ঞান, বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে সৃষ্টির সেরা করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের সুখ-শান্তির জন্য এ পৃথিবীকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ করে রেখেছেন। সম্পদ বণ্টনে তিনি কাউকে প্রাধান্য দিয়েছেন আবার কাউকে করেছেন নিঃস্ব। কাউকে সম্পদ দিয়ে আবার কারো সম্পদ নিয়ে পরীক্ষা করেছেন তিনি।

মানুষের উচিত সুখ ও শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহর দেয়া সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা। কেননা মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার প্রতিনিধি হিসেবেই প্রেরিত হয়েছে।

দারিদ্র ও অভাবমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সবার নৈতিক পবিত্র দায়িত্ব।

বিশেষ করে সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের জন্য অভাবীদের প্রতি দয়া প্রদর্শনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ দয়া প্রদর্শন এবং সহানুভূতি পাওয়াকে দরিদ্রদের অধিকার বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

দারিদ্র বলতে আমরা কী বুঝি?
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সুন্দর পরিবেশসহ প্রয়োজনীয় কাজের অগ্রযাত্রায় অর্থের অভাবই হলো দারিদ্র্য। এ কথায়- যে কারণে মানুষ নিত্য দিনের মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে পারে না তাই দারিদ্র্য।

এছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং মানুষের জ্ঞানে দারিদ্র্যের রয়েছে নানা রকম পরিচয়। সে পরিচয়ে ওঠে এসেছে যে, পৃথিবীতে নীতিহারা ও নৈতিক চরিত্রহীন ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বড় দরিদ্র্য।

কারণ দ্বীন, ঈমান ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হলেই মানুষ অর্থকষ্টে পতিত হয়। আর অর্থের অভাবের কারণেই খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের চাহিদা প্রকট হয় বলে এগুলোকে মানুষ দারিদ্র্য বলে চিহ্নিত করেছেন।

আরও পড়ুন > খাদ্য উৎপাদনে ইসলাম যা বলে

দারিদ্র্য দূরীকরণে ইসলামের ভূমিকা
কবি হাবিবুর রহমানের কবিতা ‘নবীর শিক্ষা’য় দারিদ্র দূরীকরণে ইসলামের ভূমিকা ওঠে এসেছে। এছাড়াও দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে কুরআন-সুন্নাহে অনেক বিধি-বিধান নির্ধারণ করেছে।

দারিদ্রের জন্য দায়ী সমাজে প্রচলিত অনিয়মগুলোর মধ্যে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি অনেকাংশে দায়ী। আর এ সবের কারণে সমাজে দারিদ্র্যের মতো অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

যা থেকে বিরত থাকতে কুরআনের একাধিক জায়গায় গুরুত্বের সঙ্গে নির্দেশ করা হয়েছে। আবার সম্পদশালী ব্যক্তিকে দারিদ্র্য দূরিকরণে এগিয়ে আসতে সুস্পষ্টভাবে আহ্বান করা হয়েছে। আর তাহলো-

> ‘তিনি পৃথিবীতে তোমাদেরকে প্রতিনিধি করেছেন, কারো চেয়ে কারো মর্যাদা উন্নত করেছেন (বিভিন্ন বিষয়)। উদ্দেশ্য হলো যা দিয়েছেন সে বিষয় পরীক্ষা করা।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৬৪)

> ‘আমরা দুনিয়াতে তাদের মধ্যে জীবিকা সামগ্রী বণ্টন করি, যাতে তারা একে অপরকে সেবকরূপে গ্রহণ করে।’ (সুরা যুখরুখ : আয়াত ৩২)

> কাফেরদের সচ্ছলতার জ্ঞানের প্রতিবাদে আল্লাহ বলেন- ‘(হে নবী) বলুন, আমার রব, যাকে ইচ্ছা রিজিকের প্রশস্ততা দেন যাকে ইচ্ছা সংকীর্ণতা দেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকই এ ব্যাপারে অজ্ঞ।’ (সুরা সাবা : আয়াত ৩৬)

> ‘মানুষকে দুর্বলমনা করে সৃষ্টি করা হয়েছে। বিপদ স্পর্শ করলে সে ঘাবড়ে যায়। আর স্বাচ্ছন্দ্য আসলে কার্পণ্য শুরু করে।’ (সুরা মাআরিজ : আয়াত ১৯-২১)

দারিদ্র দূরীকরণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা
গরীব ও দুর্বলরা যাবে জান্নাতে আর অধিকাংশই ধনী ও প্রভাবশালীর যাবে জাহান্নামে। তবে জান্নাতি হতে গবির থাকার নির্দেশ যেমন দেয়া হয়নি তেমনি জাহান্নামি হওয়ার জন্য সম্পদশালী হওয়াকে দায়ী করা হযনি। গরীব ও ধনীরা তাদের কর্মের মাধ্যমেই তা অর্জন করবে। হাদিসে প্রিয়নবি বলেন-

> সব মানুষই আল্লাহর নির্ধারিত অবস্থানে থেকে আনুগত্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। অভাব বা সচ্ছলতা নয়, ব্যক্তির মানসিকতা অবাধ্যের কারণ। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভাব (এর কষ্ট) ও প্রাচুর্যের (অহংকারের) ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন।’ (দাউদ শরীফ)

> অনেক সমস্যার মধ্যে দারিদ্র্য অন্যতম এবং জীবিকার প্রাচুর্যও অনেক নিয়ামতের অন্যতম। ব্যক্তি, সময় ও স্থানভেদে মানুষকে দারিদ্র ও প্রাচুর্য দান করা মহান আল্লাহর কৌশলেরই বৈচিত্র্য ও স্থায়ী নীতি।

দারিদ্র্য দূরীকরণের ইসলামের নীতি ও পদ্ধতি
যেসব নীতি ও পদ্ধতির আলোকে সমাজ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, ইসলাম তা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামের অসংখ্য মানবিক গুণাবলী ও দিকগুলোকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মাঝে আখেরাতের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা জরুরি।

সম্পদের সুষম বণ্টনে ইসলাম নৈতিক শিক্ষা ও বিধান বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আইনগত প্রক্রিয়া প্রয়োগ করাও জরুরি। তবেই সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর হবে-

দরিদ্রদের দানে কুরআনের নির্দেশ ও নসিহত
- ইসলাম ক্রীতদাসকে মুক্ত করা ও দুর্ভিক্ষের সময় অভাবীগ্রস্তদের দান করাকে হেদায়েত পাওয়ার শর্ত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘আমি কি তাকে দান করিনি দুই চোখ, জিহ্বা ও দুটি ঠোট? মূলতঃ আমি তাকে দু’টি পথ দেখিয়েছি। এরপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি। অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে খাদ্যদান, ইয়াতিম আত্মীয়কে অথবা নিঃস্ব মিসকিনকে। অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। তারাই সৌভাগ্যশালী। (সুরা বালাদ : আয়াত ৮-১৮)

- পরকালের মুক্তির জন্যই দারিদ্র্য দূরীকরণে এগিয়ে আসা বাধ্যতামূলক। আল্লাহ বলেন-
‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ ফেরাবে (নামাজ পড়বে) বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর ওপর, কেয়ামতের দিনের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং সমস্ত নবি-রাসুলগণের ওপর। আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৭৭)

- অভাবমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি দান গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। (বিনিময়ে) আল্লাহ তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্মের খুব খবর রাখেন।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৭১)

- দরিদ্রদের দান করা সর্বোত্তম ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তোমরাই তা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৬৭)

দরিদ্রদের দানে হাদিসের নির্দেশ ও নসিহত
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুর্বল, অসহায় ও নিঃস্বদের ওছিলাতেই সচ্ছ্বল মানুষরা (আল্লাহর) সাহায্য ও রিজিকপ্রাপ্ত হয়।’ এখানে একই সঙ্গে নিঃস্বদের মর্যাদা ও অধিকার বিবৃত হয়েছে।

- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ‘জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকো; একটি খেজুরের অর্ধেক দিয়ে হলেও।’

আরও পড়ুন > ক্ষুধায় খেতে ইচ্ছে না করলে যে দোয়া পড়বেন

আইন প্রয়োগ ও সুষম অর্থ ব্যবস্থা প্রণয়ন
আইন প্রয়োগ করে দারিদ্র্য দূরীকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায় ও তা বণ্টন। দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা না থাকায় এবং সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা না থাকায় জাকাতের অর্থ উত্তোলন ও বণ্টন হচ্ছে না। ফলে দিন দিন অভাবি মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

ইসলামি বিধি-বিধান অনুযায়ী দান-অনুদান, সম্পদশালী ব্যক্তিদের সমূদয় অর্থের জাকাত আদায় ও খাদ্য শষ্যের ওসর আদায় করে জাকাত ফান্ডে জমা করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।

অতঃপর জাকাত ফান্ডের অর্থ সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে অভাবি মানুষের মধ্যে সুষম বণ্টন করতে পারলে বাংলাদেশের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠী অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বচ্ছলতায় ফিরে আসবে। সমাজে কোনো গরিব মানুষ থাকবে না। এক সময় এসব গরিব মানুষও সরকারের রাজকোষে তাদের জাকাতের অর্থ জমা দেবে। ফলে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে রাষ্ট্র।

সুতরাং দারিদ্র্য দূরীকরণে কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত পন্থায় দান-অনুদান ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রণয়ন সময়ের দাবি। যা সহজেই অভাব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পাড়ায়, মহল্লায়, সমাজে, ইউনিয়নে, উপজেলায়, জেলায় তথা দেশব্যাপী কুরআন-সুন্নাহর হুকুম মোতাবেক জাকাত ও দান-অনুদান প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।