মসজিদ নির্মাণ করলেন খ্রিস্টান ব্যবসায়ী
সাজি চেরিয়ান। দক্ষিণ ভারতের কায়ামকুলামের এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম। তিনি আড়াই কোটি দিরহাম খরচ করে মুসলিম কর্মীদের জন্য মসজিদ তৈরি করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
আরব আমিরাতের আল-হায়াল শিল্প এলাকার ইস্ট ভিলা রিয়েল এস্টেট কমপ্লেক্সের পাশেই এ মসজিদ তৈরি করেন তিনি। এ মসজিদে এক সঙ্গে ২৫০জন মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদ বেষ্টিত বাগানে নামাজ পড়তে পারবেন আরা ৭০০ জন।
এ সব মুসলিম কর্মীরা তারই অধীনে কাজ করে। তাদের উপাসনার জন্য মসজিদ উপহার দেন ব্যবসায়ি সাজি চেরিয়ান। মসজিদটির নাম দেন ‘মারিয়াম উম্মে ঈসা মসজিদ’। মসজিদটি চলতি বছরের ১ জুন নামাজ পড়ার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
সাজি চেরিয়ানের প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার মুসলিম শ্রমিক কাজ করেন। তারা নামাজের জন্য ট্যাক্সি করে মসজিদে যেতেন। শুধু শুক্রবার নামাজ পড়ার জন্য শ্রমিকদের খরচ হয় ২০ দিরহাম। যা তাদের জন্য অনেক ব্যয় সাপেক্ষ।
২০০৩ সালে ৪৯ বছর বয়সী সাজি চেরিয়ান ভারত থেকে ২৫০ দিরহাম পূঁজি নিয়ে আরব আমিরাতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন কোম্পানিতে শ্রমিক নিয়োগ দেন। সেখানে একটি শ্রমিক আবাসের মালিক তিনি।
বর্তমানে তার অধীনে সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যারা ৫৩টি কোম্পানিতে কাজ করে। তাদের থাকার জন্য রয়েছে ৮০০ রুম। এ সব শ্রমিকদের অধিকাংশের বেতন ৬০০-৮০০ দিরহাম।
সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকা ও ইউক্রেনের ১০০০ মুসলিম শ্রমিক রয়েছে। যাদের জন্য সাজি চেরিয়ান মসজিদ নির্মাণ করলেন।
সাজি চেরিয়ানের ভাষ্য, ‘আমি একজন খ্রিস্টান হয়েও মসজিদ নির্মাণ করায় জেনে খুশি হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা মসজিদে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করছেন বলেও জানান তিনি।’
খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সাজি চেরিয়ানের মসজিদ নির্মাণ নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তার এ কাজে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে।
এমএমএস/পিআর