নামাজে যেসব কাজের গুরুত্ব ও ফজিলত বেশি

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮

ঈমান লাভের পর মানুষের প্রথম এবং প্রধান ইবাদত হলো নামাজ। নামাজের একটি বিধান হলো তা জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব বা আবশ্যক।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে জামাআতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে জোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর জামাআতের ব্যাপারে অবহেলায়ও রয়েছে কঠোর সতর্কতা। জামাআতে নামাজে অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। সে সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে।

জামাআতে নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
> কোনো এক নামাজে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু লোককে পেলেন না। তখন তিনি বললেন, ‘আমার ইচ্ছে হয়, কাউকে কাঠ-খড়ি সংগ্রহ করতে বলি। তারপর আজান দিতে বলি। তারপর কাউকে নামাজ পড়াতে বলি। অতপর আমি তাদের কাছে যাই যারা জামাতে আসে না এবং কাঠ-খড়ি দিয়ে তাদেরকেসহ বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেই।’ (বুখারি, মুসলিম)

জামাআতে নামাজের ফজিলত বর্ণনা প্রিয়নবি বলেছেন
> একাকি নামাজ আদায়ের চেয়ে জামাআতে নামাজ আদায়ে রয়েছে সাতশ’ গুণ বেশি মর্যাদা। (বুখারি, মুসলিম)

ইশা ও ফজর নামাজের জামাআতের গুরুত্ব
> হজরত উবাই ইবনে কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ফজরের নামায পড়ালেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, অমুক কি (জামাআতে) এসেছে? লোকেরা বলল, ‘জী না’। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, ‘জী না’। তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (ইশা ও ফজর) মুনাফেকদের জন্য আদায় করা সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে, এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে (জামাআতে) অংশগ্রহণ করতে।’ (আবু দাউদ, ইবনে খুজায়মা)

ইশা ও ফজর নামাজের গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণ হলো এ সময়ে মানুষ পরিবারের লোকদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটায় কিংবা বিশ্রাম করে। ফলে জামাআত দুটিতে মানুষের অবহেলা ও গাফলতি বেশি হয়ে থাকে। তাই হাদিসে এ দুই ওয়াক্তের প্রতি বেশি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।

তাকবিরে উলা ও প্রথম কাতারে অংশগ্রহণের ফজিলত
জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় তাকবিরে উলা তথা প্রথম তাকবির থেকে জামাআতে অংশ গ্রহণ করা ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসে এসেছে-
‘জামাআতের প্রথম কাতার (সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে) ফেরেশতাদের কাতারের অনুরূপ। তোমরা যদি জানতে যে, এটা কত মর্যাদাপূর্ণ তাহলে এর জন্য প্রতিযোগিতা করতে।’

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন তাকবিরে উলার সাথে জামাতে নামায আদায় করবে তার জন্য দুটি মুক্তিনামা লেখা হবে। (তার একটি হলো) জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং (অন্যটি হলো) নেফাক থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি)

মুসলিম উম্মাহর উচিত জামাআতে নামাজ আদায়ে আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা আবশ্যক। যেন ধীরস্থির ভাবে মসজিদে গিয়ে যথাযথভাবে সুন্নাত নামাজ আদায় করে প্রথম কাতারে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায় করা যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।