যে ২৫ ব্যক্তি পাবে মৃতব্যক্তির সম্পদের মালিকানা
মিরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রয়েছে দু’টি শর্ত। যে শর্ত না থাকলে সম্পদের উত্তরাধিকার হওয়া সম্ভব নয়। আর তাহলো-
> সম্পদের মালিকের মৃত্যু হওয়া। এবং
> সম্পদের মালিকের মৃত্যুর সময় তার ওয়ারিসদের জীবিত থাকা।
সুতরাং সম্পদের মালিকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পত্তিতে ওয়ারিসদের হক প্রতিষ্ঠা হবে না। সম্পত্তির মালিক ‘মুরিস’-এর মৃত্যু হলে তার রক্ত সম্পর্কিত ও নিকটাত্মীয়রা সম্পদের মালিক হবে।
উত্তরাধিকার লাভের ভিত্তিই হচ্ছে নিকটাত্মীয়তার সম্পর্ক। সম্পর্কের দিক থেকে ২৫ শ্রেণির মানুষ মৃত ব্যক্তির সম্পদের মালিকানা লাভ করবে। এ উত্তরাধিকার লাভ করবে ১৫ শ্রেণির পুরুষ এবং ১০ শ্রেণির নারী। আর তারা হলো-
পুরুষ উত্তরাধিকার যারা
> নিজ সন্তান
> পৌত্র (ছেলের ছেলে বা নাতি)
> পিতা
> দাদা
> আপন ভাই
> বৈমাত্রেয় ভাই (পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঔরসজাত সন্তান অর্থাৎ একই বাবার ঔরসজাত অন্য মায়ের সন্তান)
> বৈপিত্রেয় ভাই (মায়ের আগের স্বামীর ঔরসজাত সন্তান অর্থাৎ মা একজন কিন্তু বাবা আলাদা)
> ভাতিজা তথা আপন ভাইয়ের ছেলে
> বৈমাত্রেয় ভাইয়ের ছেলে
> আপন চাচা অর্থাৎ পিতার আপন ভাই তথা একই বাবা-মায়ের সন্তান
> বৈমাত্রেয় চাচা অর্থাৎ পিতার অন্য মায়ের সন্তান
> আপন চাচাত ভাই অর্থাৎ পিতার আপন ভাইয়ের ছেলে
> বৈমাত্রেয় চাচাত ভাই অর্থাৎ পিতার অন্য মায়ের ছেলে
> মৃত ব্যক্তি স্ত্রী হলে তার স্বামী
> মৃত ব্যক্তি কোনো সময় ক্রীতদাস থাকলে তাকে মুক্তিদানকারী মনিব
আরও পড়ুন > মানুষের খারাপ আচরণে কষ্ট পাবেন কেন?
নারী উত্তরাধিকার যারা
> নিজ কন্যা
> আপন মাতা
> পৌত্রী বা আপন ছেলের কন্যা বা নাতিন
> দাদি তথা পিতার মা
> নানি তথা মায়ের মা
> আপন বোন তথা একই বাবা-মায়ের সন্তান
> বৈমাত্রেয় বোন তথা অন্য মায়ের সন্তান
> বৈপিত্রেয় বোন তথা মায়ের আগের স্বামীর ঔরসজাত সন্তান
> স্ত্রী তথা মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে তার স্ত্রী
> মুক্তিদানকারিণী মনিব। মৃত ব্যক্তি নারী কিংবা পুরুষ হোক সে যদি কোনো সময় ক্রীতদাস থাকে আর মালিক স্ত্রী হয় তবে সে মুক্তিদানকারিণী মুনিব।
উল্লেখিত ২৫ শেণির নারী-পুরুষ মৃত ব্যক্তির সম্পদের উত্তরাধিকার লাভ করবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্বসহ কারে তা বণ্টন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর