'আসসালতু খায়রুম মিনান নাউম'। স্থানীয় সময় ভোর পৌনে ৫টায় মক্কার কাবা শরিফ থেকে মুয়াজ্জিনের সুরেলা কণ্ঠে ফজরের নামাজের আজান ভেসে আসছিল। এর কিছু আগেই কাবা ঘর তাওয়াফ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় বলয় তৈরি করে মূল কাবা চত্ত্বরে প্রবেশও বন্ধ করে দেন দায়িত্বরতরা।
কাবা চত্ত্বরে নামাজ পড়ার জন্য হাজিরা প্রাণান্তকর প্রচেষ্ঠা চালান। যারা চত্ত্বরে স্থান পান তাদের মধ্যে অনেকেই মোবাইল ফোনে কাবাঘরের সামনে পিছনে ‘সেলফি উইথ কাবায়’ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
দেখা গেছে এক শ্রেণির হাজি শুধু তাওয়াফের সময়ই নয়, আজানের সময়, এমনকি নিয়ত বেঁধে ইমাম নামাজ পড়ানো শুরু করার পরও সেলফি তোলা আর থামান না। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা ‘ইয়া হাজি ইয়া হাজ্জি’বলে তাদের ছবি তোলা থেকে বিরত থাকতে বললেও কে শোনে কার কথা। শুধু মূল চত্ত্বরেই নয়, কাবা ঘরের বিভিন্ন তালা, সাফা মারওয়া পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে সেলফি তোলার হিড়িক লেগেই থাকে। এতে করে সামনে পেছনে নামাজ আদায়রত অনেক হাজির রুকু বা সেজদা দিতে সমস্যা হয়।
মক্কায় ফজরের নামাজের জামাত ভোর পৌনে ৫টায় হলেও রাত ২টার পর থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ছোটবড় বিভিন্ন সড়ক থেকে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুরা আল্লাহর ঘরে ফজরের নামাজ পড়তে ছুটছেন। তবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাবার আশেপাশে সমানে সেলফি তুলতে দেখা যায়। বাংলাদেশি অনেকে একে ‘সেলফি বাতিক’ নাম দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ২০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২০ লাখ শিশু-কিশোর-যুবক, নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করেছেন। তাদের মধ্যে মোট ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৭ জন ছিলেন বিদেশি। এর মধ্যে মোট ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫ জন বিমানে, ৮৩ হাজার ৩৮২ জন স্থল ও ১৬ হাজার ১৬৩ জন নৌপথে সৌদি আরব পৌঁছান।
এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম