যে কাজে মানুষের অভাব থাকে না

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮

আল্লাহ মানুষকে অভাব-দুর্যোগ-ভয় ইত্যাদি দিয়ে পরীক্ষা করেন। যারা এ সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য রয়েছে সফলতা। দুনিয়ার সর্বোত্তম সফলতা হলো অভাবমুক্ত থাকা।

তাই আল্লাহ তাআলা মানুষকে সময় মতো তার বিধান তথা হুকুম যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ততা বা তাড়াহুড়ো কিংবা অলসেমি নয় বরং সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেষিত ও নির্ধাররিত ইবাদত যথাযথ পালন করে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও স্বচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন লাভের পাশাপাশি পরকালের সফলতা লাভ করা আবশ্যক।

হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি কর ও ইবাদতে মন দাও; তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্যকে দূর করে দেব।
আর যদি তা না কর, তবে-
তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর হবে না।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী এ কথা সুস্পষ্ট, যারা নিজেদেরকে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগিসহ যাবতীয় বিধি-বিধান পালনে নিজেকে তৈরি করবে-

- তাদেরকে আল্লাহ তাআলা অভাব থেকে মুক্ত রাখবেন।
- তাদেরকে অন্তরকে আল্লাহ তাআল প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবেন এবং
- আল্লাহ তাআলার সব পরীক্ষায় সফলতা লাভ করবেন।

সুতরাং যারা নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিসহ আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে ব্যস্ততা দেখায় বা সময়ের অজুহাতে আল্লাহর নির্দেশ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে; আল্লাহ তাআলা সব সময়ই তাদেরকে ব্যস্ততায় রাখবেন এবং কখনোই তাদের অভাব দূর হবে না।

তাই ইবাদত বন্দেগির জন্য অবসর সময় তৈরি করাই মুমিনের প্রথম ও প্রধান কাজ। আর এ অবসর সময়ে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগি তথা দ্বীনের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার বিধান পালনে অবসর সময় তৈরি করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার ব্যবস্ততা থেকে মুক্ত রাখুন। দুনিয়ার প্রতিটি কাজই যেন ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয় সেভাবে সব কাজ সুন্নাতের অনুসরণে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।