কাবা শরিফ তাওয়াফে হাজিদের যে কাজগুলো সুন্নাত
হজ ওমরাসহ প্রতিটি ইবাদতেই রয়েছে ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত ও নফল কাজ। যা পালন করা সবার জন্য সাওয়াবের কাজ। যে কোনো ইবাদতই সুন্নাত তরিকায় করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাসুলে আরবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের অনুসরণ করলো সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে। আবার অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ত্যাগ করলো সে আমার দলভূক্ত নয়।’
সুতরাং পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফে সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ আদায় করা ঈমানের একান্ত দাবি। যদিও হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ফরজ।
তাছাড়া ফরজ তাওয়াফ ছাড়াও রয়েছে মান্নতের তাওয়াফসহ নফল তাওয়াফ। সব তাওয়াফেই এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো পালন করা সুন্নাত। হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য সে সুন্নাতগুলো তুলে ধরা হলো-
> তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা সম্ভব না হলে ইশারা করা।
> হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
> তাওয়াফ শুরুর আগে হাজরে আসওয়াদ বরাবর দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিনো।
আরও পড়ুন > ‘হজে মাবরুর’ এর ফজিলত
> তাওয়াফ শুরু আগে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।
> তাওয়াফে ইজতিবা করা অর্থাৎ ইহরামের চাদর ডান বগলের নিচে দিয়ে (বাহাদুরি সুলভ) এনে বাম কাঁধে জড়ানো।
> তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্কর রমল করা অর্থাৎ বীর দর্পে শরীর দুলিয়ে দ্রুততার সঙ্গে তাওয়াফ করা।
> পরবর্তী ৪ চক্কর ধিরস্থিরভাবে আদায় করা।
> ৭ চক্করে বিরতি না দিয়ে তাওয়াফ সম্পন্ন করা।
> দেহ ও পরিধেয় কাপড় নাজাসাতে হাকিকি থেকে পবিত্র হওয়া।
> তাওয়াফের পর সাঈ করার আগে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বা ইসতিলাম (স্পর্শ) করা।
মনে রাখা জরুরি, হজ ও ওমরা পালনে নারীদের তাওয়াফে ইজতিবা ও রমল নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর হজ ও ওমরা পালনকারীদেরকে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস