লাতিন আমেরিকার সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ‘আর্জেন্টিনা’
আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ। যার আয়তন ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বা ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৮ মাইল।
ফুটবলের কারণে দেশটি উপমহাদেশে বেশি পরিচিত হলেও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এটি। সে দেশের মুসলমান সাবলিলভাবে তাদের ধর্ম পালন করে যাচ্ছে। বড় বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনেও কোনো বাধা নেই।
দেশটিতে ৯২ শতাংশ মানুষ রোমাজন ক্যাথলিকে বিশ্বাসী হলেও সে দেশে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী। ইয়াহুদি, প্রটেস্ট্যান্ট ও অন্যান্যরা রয়েছে ৬ শতাংশ। আর মুসলিম জনসংখ্যার হার ২ শতাংশ।
২০০৯ সালে দ্যা গাড়িয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সেখানকার মুসলিম জনসংখ্যা ৭ লাখ ৮৪ হাজার।
আর্জেন্টিনায় মুসলিম বসতি স্থাপন সম্পর্কে জানা যায়, দেশটিতে স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ কলোনি ছিল। সেখানে কাজ করার জন্য পশ্চিম আফ্রিকা থেকে যাদেরকে ধরে আনা হতো তারা ছিল মুসলমান। তাদের বংশানুক্রমিক বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আরবদেশ থেকে মুসলিম অভিবাসীর আগমনে দিন দিন মুসলিম জনবসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ মুসলমান দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী বুয়েনোস আইরেস-এ বসবাস করে। সেখানকার মুসলমানরা বেশ স্বাধীনভাবেই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন > মুসলিম জাতির জন্য হজরত ইবরাহিমের দোয়ার ভাণ্ডার
আর্জেন্টিনায় গড়ে ওঠেছে বেশ কিছু বড় বড় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। যার মধ্যে দ্য ইসলামিক সেন্টার অব আর্জেন্টিনা (সিআইআরএ) অন্যতম। তাছাড়া রয়েছে মসজিদে আহমদ, মসজিদ আত-তাওহিদ, কিং ফাহাদ খ্যাত পালার্মো মসজিদ।
পবিত্র রমজানের রোজা ও ঈদসহ সব ইসলামি উৎসবগুলো স্বাধীনভাবে পালনে ইলেক্ট্রনিক্স চ্যানেলসহ নানা আয়োজনের ব্যবস্থা। ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষায় রয়েছে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার ভিত্তিক কার্যক্রম। তাছাড়া রমজানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দারিদ্র্যের প্রতি সহযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে মুসলিম কমিউনিটিতে।
আর্জেন্টিনায় দিন দিন বাড়ছে মুসলিমদের সংখ্যা। মসজিদগুলোতে বাড়ছে মুসল্লিদের সংখ্যাও। দেশটির সরকারও মুসলমানদের প্রতি সহনশীল। যে কারণে নাইন ইলেভেনের সময় দেশটির মুসলিমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়লে দেশটির সরকার সংকটকালীন মুহূর্তে মুসলিমদের সহযোগিতা প্রদান করে।
এমএমএস/এমএস