মুসলমানের জন্য রাসুলের ওপর ঈমান আনার গুরুত্ব কতটুকু?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভের মূলমন্ত্র তাওহিদ ও রেসালাত স্বীকৃতি দেয়া। আর তাহলো- ‘লা ইলাহা ল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’। পরকালের নাজাত লাভে তাওহিদ ও রেসালাতে পূরিপূর্ণ বিশ্বাস অর্জন করে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপনের বিকল্প নেই।

শুধুমাত্র তাওহিদের প্রতি ঈমান আনলেই চলবে না। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হিসেবে সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর তা হবে পরকালের নাজাতের একমাত্র মূলমন্ত্র।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান আনা থেকে যারা বিরত থাকবে; তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবন! এ উম্মতের যে কেউ আমার রেসালাতের কথা শুনবে; চাই সে ইয়াহুদি হোক কিংবা নাসারা। অথচ আমি যা (কুরআন) সহকারে প্রেরিত হয়েছি, তার ওপর ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করে; সে অবশ্যই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। (মুসলিম)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী তাঁর আনীত জীবন বিধান ইসলামের আগমনের পর অন্য কোনো শরিয়ত বা জীবন ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। আর আগের শরিয়তের সব অনুসারিদের জন্য আবশ্যক ইসলামের অনুশাসন মেনে নেয়া।

তাওহিদের স্বীকৃতির পাশাপাশি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতের স্বীকৃতি দেয়া। যারা এ দু’টি বিষয়ের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করবে, তাদের জন্য জরুরি হবে পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। তবেই সফলতা লাভ করবে এ জাতি।

আল্লাহ তাআলা সমগ্র উম্মাহকে তাওহিদের প্রতি বিশ্বাস লাভের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বনবির রেসালাতের প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস অর্জন করার সুনসিব দান করুন। পরকালের নাজাত ও সফলতা দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।