সারারাত নামাজের সাওয়াব লাভের সহজ উপায়
মুসলমানের প্রধান ইবাদত নামাজ। এ নামাজ আদায়ে রয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়। আর আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে যথা সময়ে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। আবার প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাআতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন।
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি বলেছেন, সারা রাত ঘুমানো সত্ত্বেও রাতভর নামাজ আদায়ের সাওয়াব পাওয়া যায়। আর তা সম্ভব জামাআতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি বলেন-
হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ইশার নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করল, সে অর্ধেক রাত কেয়াম (নামাজ আদায়) করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করল (অর্থাৎ ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করল) সে যেন পূর্ণ রাত কেয়াম (নামাজ আদায়) করল।’ (মুসলিম)
উল্লেখিত হাদিসে দু’টি কাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একটি হলো জামাআতে নামাজ আদায় করা। আর দ্বিতীয়টি হলো ইশা এবং পরবর্তী ফজরে নামাজ জামাআতে আদায় করা।
যারা এ দুটি কাজ হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী আদায় করতে পারবে, তারাই সারা রাত নামাজ আদায়ের সাওয়াব লাভ করবেন।
অনেক সময় দেখা যায়, ইশার নামাজ জামাআতে আদায় করলেও ফজরের নামাজ পড়াই হয় না। আবার পড়া হলেও অনেকেই জামাআতে পড়তে পারে না।
অথচ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে প্রমাণিত ইশার পর ফজর নামাজ জামাআতে পড়তে পারলেই লাভ হবে সারা রাত জেগে নামাজ আদায়ের সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইশার নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার পর পরবর্তী ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করার তাওফিক দান করুন। সারা রাত নামাজের সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম