‘আউজুবিল্লাহ’ পড়বেন যে কারণে
‘তাউজ তথা আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম’-কে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার রক্ষাকবচ বলা হয়। মানব ও জিন জাতির মধ্যে ঐ ব্যক্তির ক্ষতি ও আক্রমণ থেকে মুমিন মুসলমানকে নিজেকে হেফাজত করবে; যে ব্যক্তি দাম্ভিক ও সীমা অতিক্রমকারী।’
বান্দার অন্তরকে গাইরুল্লাহর ছোঁয়া থেকে রক্ষা করার জন্যই তাউজ পড়া জরুরি। তাউজ পাঠের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে তাঁর সীমাহীন শক্তি ও ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করে। সে সঙ্গে বান্দা এ কথা স্বীকার করে যে, একমাত্র আল্লাহ তাআলাই বান্দাকে সব অনিষ্ট থেকে হেফাজত করার ক্ষমতা রাখে।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাউজ পড়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। কারণ বান্দা যখন বিতাড়িত শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকবে; তখনই গোনাহমুক্ত সুন্দর ইসলামি জীবন-যাপন করা সম্ভব।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতিকে শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে প্রিয়নবিকে লক্ষ্য করে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘অতএব যখন আপনি কুরআন তেলাওয়াত করবেন, তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন।’ (সুরা নাহল : আয়াত ৯৮)
এ কথা বলার উদ্দেশ্যে হলো কুরআন হলো মানবজাতির জন্য হেদায়েত গ্রন্থ।’ এ হেদায়েত গ্রন্থ অধ্যয়নে শয়তান যাতে কুমন্ত্রণা দিয়ে মানুষকে পথহারা না করে।
আল্লাহ তাআলার নির্দেশের কারণেই কুরআনের যে কোনো অংশ তেলাওয়াতের শুরুতেই আউজুবিল্লাহ পড়ে শুরু করতে হবে।
পরিশেষে…
‘তাউজ তথা আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম’ হলো শয়তানের ধোঁকার জালে আটকা পড়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। তাই মানুষের জীবন ব্যবস্থার একমাত্র দিক-নির্দেশক আল-কুরআন তেলাওয়াতের আগে প্রত্যেক মানুষের জবান এবং কলবকে পবিত্র রাখতে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়া জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন তেলাওয়াতসহ সব কল্যাণের কাজে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম’ পাঠ করার মাধ্যমে নিজেদের কলবকে পবিত্র রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর