হাসিতে মানুষের যে উপকার হয়

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮

মানুষের সুস্থতার জন্য হাসি অনেক উপকারি। শারীরিক ও মানসিকভাবে মানুষ এ উপকার লাভ করে। মনের সুস্থতায় হাসি এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এ হাসি হতে হবে মুচকি হাসি। কাহকা বা অট্ট হাসি নয়। কেননা অট্ট হাসি এবং রাগের কারণে মানুষের শরীরের যথাক্রমে ১৪টি এবং ৪৬টি অঙ্গে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

মানুষের জন্মের পর মানবদেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে হাসি একটি বিশেষ উপাদান ৷ কারণ কোনো নবজাতক শিশু থেকে প্রথম যে কল্যাণময় জিনিসটি প্রকাশ পায় সেটা হলো হাসি ৷ এ হাসির মাধ্যমৈ সে প্রসন্নতা লাভ করে ৷ এর ফলে সে মানসিকভাবে প্রফুল্লতা লাভ করে এবং দেহে চর্বি ও রক্ত বাড়ে, মেরুদণ্ড সমান্তরাল থাকে। আর এ শান্তিই শিশুর খুশি এবং শক্তির মূল কারণ।

আর যারা নবজাতক শিশুর মতো এমনিভাবে শব্দহীন মুচকি হাসে, এটা তাদের জন্যও অনেক কার্যকরী। মানসিক প্রফুল্লতার পাশাপাশি মুচকি হাসি মানুষের মেরুদণ্ডকে সমান্তরাল রাখতে সহায়তা করে। আর মুচকি হাসিতে রয়েছে অনেক কল্যাণ ও উপকারিতা। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সৎ আমলের (ভালো কাজের) কোনো কিছুকেই তুচ্ছ (ছোট) মনে করো না; যদি তা (সৎ আমলটি) তোমার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে মুচকি হাসি দিয়ে মিলিত হওয়ার দ্বারাও হয়ে থাকে। (মুসলিম)

অন্য হাদিসে এসেছে, মুচকি হাসি সাদকা।’ অর্থাৎ পরস্পরের সঙ্গে মুচকি হাসির মাধ্যমে ভাব বিনিময় করাও মুসলমানের জন্য একটা সদকা স্বরূপ। আর সদকা হলো সাওয়াবের কাজ।

এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় সবার জন্যই মনে রাখা জরুরি যে, হাসি-কান্না, আনন্দ-ব্যাথা ও রাগ-অনুরাগ ইত্যাদি বিষয়গুলো মানুষের শারীরিক অঙ্গগুলোকে দারুনভাবে প্রভাবিত করে থাকে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে তা প্রমাণিত। আবার অতিরিক্ত হাসি অন্তরের মৃত্যু ডেকে আনে।

পরিশেষে...
কপটতা বা রাগ নয়; সব সময় হাসি-খুশি থাকি। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভ করি। নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ সুন্দর সমাজ নির্মাণ করি।

অট্ট হাসি ও রাগান্বিত না হয়ে কপটতার হাসি ত্যাগ করে সব সময় আনন্দ-বিনোদন এবং দেখা-সাক্ষাতে মুচকি হাসির মাধ্যমে ভাব বিনিময় ও উল্লাস প্রকাশ করে শারীরিক ও মানসিক উপকার ও সাওয়াবের অংশীদার হই। অযথাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর অট্ট হাসি এবং রাগ ত্যাগ করি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নসিহত অনুযায়ী পারস্পরিক প্রতিটি কাজ-কর্মে এবং সৌজন্যতা প্রকাশে সমাজে মুচকি হাসির প্রচলন, অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা ও সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।