আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যে অনুভূতি আবশ্যক

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮

মানুষের শ্রেষ্ঠ ইচ্ছা হলো আল্লাহ তাআলা সান্নিধ্য লাভ করা। তাইতো মুমিন মুসলমান সব সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে। মুমিন বান্দা দুনিয়ার প্রতিটি কাজে প্রতিটি মুহূর্তেই আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে।

মানুষ এমনভাবে প্রতিটি কাজ করার চেষ্টা করে যে, যাতে কোনোভাবেই যেন কোনো অন্যায় কাজ সংঘটিত না হয়। কেননা আল্লাহ তাআলা মানুষের সব গতিবিধি সব সময় লক্ষ্য করেন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে সতর্ক করে বলেন-

‘তিনি জানেন তোমাদের (বান্দার) চোখের চুরি এবং তোমাদের অন্তরের গোপনতম প্রকোষ্ঠে যে ভাবনার অবতারণা হয় সে সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ অবগত। (সুরা মুমিন : আয়াত ১৯)

আল্লাহ তাআলা যেহেতু মানুষের গোপনতম বিষয়গুলোও সুস্পষ্টভাবে জানেন; তাতে মুমিন বান্দার অন্যায় করার কোনো সুযোগ থাকে না। এ শিক্ষা গ্রহণ করতেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে বান্দাকে সতর্ক করেন।

হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে এ ইবাদত-বন্দেগিতে এ অনুভূতি পোষণ করতে নির্দেশ করেন যে-

‘তুমি এমনভাবে ইবাদত কর যে, আল্লাহ তাআলাকে দেখছ; আর তুমি যদি আল্লাহ তাআলাকে না দেখ, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তোমাকে দেখছে।’

সুতরাং মানুষের উচিত উল্লেখিত আয়াত ও হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে নিষ্কুলুষমুক্ত জীবন-যাপন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আর নিজেকে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে তৈরি করতে আয়াতের শিক্ষা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

ইবাদতের অনুভূতি
>> ইবাদত-বন্দেগিতে বান্দার মনের অবস্থা এমন হওয়া জরুরি যে, বান্দার প্রতিটি কর্মই আল্লাহ তাআলা পর্যবেক্ষণ করছেন; আর তখন বান্দার দ্বারা কোনো অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, চুরি, মিথ্যা এবং গিবতসহ কোনো অন্যায় কাজ করা সম্ভব হবে না।
>> গভীর রজনীতে যখন এ দুনিয়ার কোলাহল বন্ধ হয়ে যায়, তখন বান্দা একনিষ্ঠ মনে জীবনের ঘটে যাওয়া সব অন্যায় ও গোনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে রোনাজারি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
>> যখন কেউ জাগ্রত থাকে না, তখনও শয়তান মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি থেকে ফিরিয়ে রাখতে; আরাম-আয়েশ ও অলসতার সব গোমরাহিমূলক উপকরণ দিয়ে বাধা দিতে থাকে। আর মুমিন বান্দা যখন শয়তানের সব ধোঁকা ও প্রতারণায় নিজেদেরকে (আল্লাহর রহমতে) হেফাজত করে গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের প্রচেষ্টায় রাতের নামাজে (তাহাজ্জুদে) আত্মনিয়োগ করাও জরুরি।

যখনই কোনো বান্দা আল্লাহ তাআলার এ আয়াতের শিক্ষা নিজেদের জীবনে গ্রহণ করবে তখনই সে দুনিয়া ও পরকালে লাভ করবে সফলতা ও আল্লাহর মহা অনুগ্রহ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াতের শিক্ষা নিজেদের আত্মগঠনে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।