বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণে শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামার আহ্বান
১২ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাবলিগ জামাতের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বী ও আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি ও বিতর্ক চললেও গত কয়েক মাস ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বয়ে যায়।
অবশেষে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা, তাবলিগ জামাতের মুরব্বী ও সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় এ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে হয়েছে। শুক্রবার থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় চলবে তাবলিগ জামাতের এ বিশ্ব ইজতেমা। ১০ জানুয়ারি বুধবার থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জামাত। যা আখেরি মোনাজেরত আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
সর্বস্তরের মানুষের প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাগণ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণে এক বিবৃতি প্রদান করেন। ওলামায়ে কেরামগণ আশা প্রকাশ করে বলেন যে, সর্বস্তরের মানুষ আগে যেভাবে শান্তিপ্রিয়ভাবে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করে আসছেন এবারও সে ধারাবাহিকতায় ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন। শীর্ষস্থানীয় আলম-ওলামাগণ বাংলাদেশের সব মাদরাসার শিক্ষার্থী ও তাবলিগের সাথীসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ইজতেমায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
যে সব ওলামায়ে কেরাম এ বিবৃতি প্রদান করেছেন, তারা হলেন- উম্মুল মাদারিস খ্যাত হাটজাহারী মাদরাসার মহাপরিচালক, হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমির এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফী, তাবলিগ জামাতের শুরার উপদেষ্ট সদস্য ও বেফাকের সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, জামিয়া মাদানিয়ার মুহতামিম ও তাবলিগের শুরার উপদেষ্টা সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জিম্মাদার মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান এবং বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচি ও তাবলিগের শুরার উপদেষ্টা সদস্য মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
এ শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বিবৃতি আরো উল্লেখ করেন যে, প্রতিবছর যেভাবে তাবলিগ জামাতের সাথীরা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামা শরিক হয়েছেন; এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, আগামীকাল ১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ১৪ তারিখ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সমাপ্তি হবে। ৪ দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়ে ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার পরিসম্পত্তি ঘটবে।
এমএমএস/আইআই