প্রকৃত ঈমানদারের অন্যতম গুণ
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সুন্দর ও উত্তম কথা বলার জন্য জিহ্বা দিয়েছেন। জিহ্বা দ্বারা উত্তম কথা বলা মানুষের সেরা গুণগুলোর অন্যতম। দুঃখ জনক হলেও সত্য মানুষ বর্তমানে জিহ্বার দ্বারা সবচেয়ে বেশি অন্যায় করে থাকে। এমনকি মানব দেহের সবচেয়ে নরম অঙ্গ জিহ্বা দ্বারা সবচেয়ে কঠিন জিনিস কুঠারের কাজও করে থাকে।
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো মানুষকে গালি দেয়া ফিস্ক এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি।’ (বুখারি) এ নরম জিহ্বা দিয়েই মানুষ এক অন্যকে গালি-গালাজ করে থাকে। যা সুন্নাতি আমলের বর-খেলাফ।
অথচ প্রকৃত ঈমানদারের অন্যতম গুণ হলো-
জিহ্বার সর্বোত্তম ব্যবহার করা; ভালো কথা ও আল্লাহর জিকির-আজকারে জিহ্বার ব্যবহার নিশ্চিত করা। অশ্লীল ও কটু কথা-বার্তা ত্যাগ করা; উত্তম ভাষা ব্যবহার করা।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি কারো প্রতি ভর্ৎসনা ও লানত (অভিশাপ) করতে পারে না এবং সে কোনো অশালীন ও অশ্লীল কথা-বার্তা বলে না।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
উম্মতে মুহাম্মাদির প্রতি প্রিয়নবির নির্দেশ হলো-
‘তুমি রূঢ় ব্যবহার এবং অশালীন আচরণ বা কথা বর্জন করবে। (বুখারি) কেননা ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও গালিগালাজকারী, অশালীনভাষী এবং অীভসম্পাতকারী ছিলেন না। কারো ওপর তিনি নারাজ হলে শুধু এটুকু বলতেন যে, তার কি হল! তার কপাল ধূলিময় হোক।’ (বুখারি)
পরিশেষে...
হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, দুনিয়ার সবচেয়ে মন্দ কথা ও মন্দ ব্যবহার হলো আখলাকে সায়্যিয়ার অন্তর্ভূক্ত। সুতরা তা বর্জনীয় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। আর কুরআনের নির্দেশ হলো ‘মানুষের সঙ্গে উত্তম ভাষায় কথা বলো’। ইসলাম, ঈমান ও সুন্নাতের দাবিও তাই।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার জন্য অশ্লীল কথা-বার্তা ও ব্যবহার পরিত্যগ করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের নির্দেশ ও প্রিয়নবির উপদেশ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালে উত্তম কথা শোনার এবং সফলতার সুসংবাদ প্রাপ্তিতে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর