ক্ষমা লাভে যে ইসতেগফার পড়বেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

জিকির-আজকার, ইবাদত-বন্দেগি, তাওবা-ইসতেগফার, তথা সব কিছু একনিষ্ঠ নিয়তে করা আবশ্যক। একনষ্ঠিতা পাওয়া না গেলে এ সব কাজের কোনো মূল্যই নেই। বিশেষ করে তাওবা করার অর্থ হলো কৃত পাপ পরিত্যাগ করার দৃঢ় সংকল্প করা। সে পাপে আর কখনো লিপ্ত না হওয়া।

তাওবা করে পুনরায় কোনো ব্যক্তির পাপে লিপ্ত হওয়া মূলত মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে ঠাট্টা করারই নামান্তর। অথচ আল্লাহ তাআলাই হলেন বান্দার জন্য ভয় পাওয়ার একমাত্র অধিকারী। তাঁকেই সবচেয়ে বেশি ভয় করা উচিত। আর তিনি বান্দাকে ক্ষমা করারও অধিকারী। তিনি ব্যতিত দ্বিতীয় কেউ বান্দাকে ক্ষমা করতে পারবে না।

সুতরাং যে ব্যক্তি তার কাছে ক্ষমা চাইবে; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে শুধু মাত্র শিরক ব্যতিত সব গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য তাওবা ও ইসতেগফারের দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিসে এসেছে

হজরত বেলাল ইবনে ইয়াসার ইবনে যায়েদ থেকে বর্ণিত, হজরত যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলল-
tawba

উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চির প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’

আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন, যদিও সে জেহাদ থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি ও মিশকাত)
সুতরাং আল্লাহ তাআলার কাছে যাবতীয় অন্যায় অপরাধে ক্ষমা লাভে সকাল-সন্ধ্যাসহ সব সময় তাওবা ও ইসতেগফার করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরক ব্যতিত যাবতীয় পাপ থেকে ক্ষমা লাভে হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে ইসতিগফার ও তাওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।