নেশামুক্ত থাকার আমল

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আল্লাহ তাআলা অফুরন্ত নেয়ামত সম্ভারের অধিকারী। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অগণিত অসংখ্য নেয়ামতরাজিতে ভরপুর তার ভাণ্ডার। সৃষ্টিজগত এক মুহূর্তের জন্য তাঁর দয়া ও অনুকম্পা ছাড়া চলতে পারে না। তাইতো তিনি তাঁর গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’ একটি।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির (আমল) করবে; সে জান্নাতে যাবে।’ জান্নাত পাওয়া ঘোষণা ছাড়াও রয়েছে অনেক ফজিলত।

আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’ একটি। এ গুণবাচক নামের আমলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে শত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। মদ ও জেনায় আসক্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করেন। শিশু সন্তানের জিম্মাদারী গ্রহণ করেন। কারণ তিনি যে সৃষ্টির প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদানকারী।

আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-

Amal

উচ্চারণ : ‘আল-বার্‌রু’
অর্থ : ‘সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদানকারী, পূন্যবান। এ নামের আমলে তিনি সৎকর্মশীলদের সাওয়াব বৃদ্ধি করেন এবং অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমা করেন।

আল্লাহর ‍গুণবাচক নাম (اَلْمُتَعَالِىْ)-এর আমল

ফজিলত ও আমল
>> ঝড়-বৃষ্টি, তুফান, বণ্যাসহ সব বিপদাপদের সময় আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’ পড়লে যাবতীয় ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

>> কোনো শিশুকে আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তায় প্রদান করার নিয়তে কেউ যদি তাঁর গুণবাচক নাম (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’ ৭ বার পাঠ করে; তবে আল্লাহ তাআলা ওই শিশুকে বালেগ হওয়া পর্যন্ত সব বিপদাপদ থেকে নিরাপদে রাখবেন।

>> কোনো ব্যক্তি যদি মদ পান বা জেনার নেশায় পড়ে যায়; সে ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলা গুণবাচক নাম (اَلْبَرُّ) ‘আল-বার্‌রু’ ৭ বার পাঠ করে তবে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরকে এ সব খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর গুণবাচক নামের আমলের মাধ্যমে জেনাকারী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিসহ শিশু সন্তানের জিম্মাদারী গ্রহণ এবং সব জটিল-কঠিন সময়ের বিপদ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।