মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম

ডাইসনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশিরা

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ছবি- সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হয়রানি করায় ডাইসনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন।

শনিবার রয়টার্সের বরাতে মালয়েশিয়ার স্ট্রিট টাইমস বলছে, মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে ব্রিটিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডাইসনের বিরুদ্ধে লন্ডনে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয় বাংলাদেশি ও নেপালি ২৪ জন শ্রমিককে। যাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, মালয়েশিয়ার এটিএ ইন্ডাস্ট্রিয়াল নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় তাদের বেতন থেকে অবৈধভাবে অর্থ কেটে নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে খুব কঠিন কাজ করতে ব্যর্থ হলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। শ্রমিকদের পক্ষে লন্ডনের আদালতে দায়ের করা মামলায় ডাইসন টেকনোলজি লিমিটেড, ডাইসন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ান সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়।

আরও পড়ুন

২০২১ সালে ডাইসন তাদের মালয়েশিয়ান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এটিএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, এই মামলাটি মালয়েশিয়ায় হওয়া উচিত। তবে আপিল আদালত এক লিখিত রায়ে জানিয়েছেন, লন্ডনই এই মামলার জন্য সঠিক স্থান।

এ বিষয়ে ডাইসনের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি ছিল একটি প্রক্রিয়াগত শুনানি, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মামলাটি কোথায় শুনানি হওয়া উচিত। আমরা আপিল আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই এবং আমাদের আইনি লড়াইয়ে বিকল্প বিষয়ে পর্যালোচনা করছি।

ডাইসনের প্রতিষ্ঠাতা জেমস ডাইসন, যিনি ব্যাগবিহীন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার উদ্ভাবন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োগ দেয়। গত জুলাইয়ে প্রায় ১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম অধিকার ও জবাবদিহিতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]