মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পাশে বাংলাদেশের বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন
প্রকাশিত: ০২:৩৬ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলি সেনাদের হামলার স্বীকার হয়ে হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে। গাজায় নির্যাতিত হয়ে মিশরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তায় সহযোগিতা করে আসছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মানবিক সংস্থা।

সম্প্রতি ‘বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান ও বাপ্পি-শাকিলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মুহিবুল ইসলাম সাবাব মিশর সফরে আসেন তাদের পাঠানো অনুদান পরিচালনার কার্যক্রম পরিদর্শনে।

jagonews24

তার এই সফরকে ঘিরে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মানবিকতা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ ও ‘আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

রাজধানী কায়রোর আব্বাসীয়ার তাতবিকাইন টাওয়ার কনফারেন্স হলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএম সাবাব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বাপ্পি-শাকিলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে সম্মাননা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানান ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ এর ব্যবস্থাপক হুজাইফা খান আজহারী।

jagonews24

এ সময় ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনে সহযোগিতায় মিশরে ২৫টি ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবার ও সিরিয়ান কয়েকটি পরিবারের মাঝে এক মাসের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

পাশাপাশি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২১ জন বাংলাদেশি কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করেন।

jagonews24

বিএম সাবাব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম সাবাব জানান, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বাংলাদেশি মানবিক সংস্থা বাপ্পি- শাকিলা ফাউন্ডেশন ফিলিস্তিনের ২৫টি পরিবার থেকে ২৫ জন বাচ্চার ১৮ বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার দায়িত্ব নেবে। সেই ২৫টি বাচ্চার পড়ালেখা শেষে তাদের ৫,১০ অথবা ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ব্যবসা করতে সহযোগিতা করবে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বিএম সাবাব ফাউন্ডেশন এবং বাপ্পি শাকিলা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মিশরের ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের প্রেরিত ভালোবাসা পৌঁছে দিতে একযোগে কাজ করবে।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]