যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা-ছেলের জানাজা সম্পন্ন

আশিক রহমান
আশিক রহমান আশিক রহমান মিশিগান প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা-ছেলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) বাদ জোহর ডেট্রয়েট সিটির মসজিদুন নুরে দুজনের জানাজা শেষে একই শহরের মাউন্ড ইকরলেন লিয়েটের সিমেট্রিতে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। নিহত নুর মিয়া ও মাইদুল ইসলাম সুজনের দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহিদুল ইসলাম সুজন। গুরুতর আহত হয়ে পরদিন মারা যান তার বাবা নুর মিয়া।

বাবা ছেলের জানাজায় মসজিদুন নুরে ৩ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। পরে ভেতর জায়গা না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে পার্কিং লটের পাশাপাশি ডেট্রয়েট দারুল মাদরাসার ভেতর ও বাইরে মুসল্লিরা জানাজার অংশ নেন।

jagonews24

জানা গেছে, ১০ অক্টোবর দুপুরে হ্যামট্রামেক সিটি পুলিশ একটি সাদা গাড়িতে বহনকারী কয়েকজন নারীকে সন্দেহ হলে তাদের পাকড়াও করে।পথিমধ্যে কনান্ট রোড দিক দিয়ে আগত সুজন ও তার বাবা সাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সাদা গাড়িটি সরাসরি সুজনের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি ধুমড়েমুছড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছেলে সুজন মারা যান এবং বাবা নুর মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক দিন পর বাবাও ডেট্রয়েট সিটির ডিএমসি হাসপাতালে মৃত্যুরবরণ করেন।

এদিকে এই দুর্ঘটনার পেছনে হ্যামট্রামেক সিটি পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না এমনকি দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তারা সাদা গাড়িটিকে কত গতিতে পাকড়াও করেছেন এবং এটার বৈধতার কতটুকু এই বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য হ্যামট্রামেক সিটি কাউন্সিলর এবং মেয়র প্রোটেম মোহাম্মদ কামরুল হাসান সিটির পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি জানাজায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতদের শ্বশুর ও বেয়াই আব্দুল মতিন এবং ব্যবসায়ী সাকের সাদেক এই দুর্ঘটনার জন্য কমিউনিটির সবাইকে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ৪ বছর আগে সুজন মিশিগানে আসেন। তার বাবাকে নিয়ে আসেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে সুজন একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। নিহত নুর মিয়া ও মাইদুল ইসলাম সুজনের দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামে।

সুজনের মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং কমিউনিটির সবাই শোক সন্তপ্ত পরিবাবের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছেন।

এমআইএইচএস/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]