ফের কলিং ভিসা চালু করলো মালয়েশিয়া, যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
পাম বাগানে কাজের জন্য বাংলাদেশিসহ বিদেশিকর্মী নেবে মালয়েশিয়া। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ‘চাহিদাপত্র’ সত্যায়নের ঘোষণার মধ্যদিয়ে বন্ধ থাকা কলিং ভিসা পুনরায় চালু করলো মালয়েশিয়া।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে পাম বাগানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ‘চাহিদাপত্র’ সত্যায়নের জন্য এমন তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। যার স্মারক নং- ৪৯.০১.৬০০১.০০৬.২০.০৮৫.২০২২.৫৫৩।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে তাদের প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বিদেশিকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে কর্মী নিয়োগের কোটা অনুমোদন করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্ল্যান্টেশন সেক্টরের চাহিদাপত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করা হচ্ছে।
- আরও পড়ুন
- বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে যেসব পরিবর্তন এনেছে মালয়েশিয়া
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকর্মী নিয়োগে থাকবে না সিন্ডিকেট
- মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে ‘তৃতীয়পক্ষ’ বন্ধের নির্দেশ
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য অন্তত ১৫ রকমের তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে কোম্পানির অনুমোদনপত্র (কমপক্ষে কোম্পানির একজন কর্মচারী হতে হবে ম্যানেজার পর্যায়ে), সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, শ্রমিকদের সবশেষ বেতন স্লিপ (৪/৫ জন শ্রমিকের নমুনা বেতন স্লিপ), কোম্পানির পটভূমি তথ্যের একটি প্রোফাইল যেখানে উল্লেখ থাকবে বিদ্যমান শ্রমিকের সংখ্যা (দেশি ও বিদেশি), শ্রমিকদের ২/৩ জনের ফোন নম্বর, কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত ৩ মাসের) যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
এছাড়াও বিদেশি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি (বিদ্যমান কর্মীদের নমুনা নথি), বিদেশি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকা ১ স্কিম (এসপিআইকেপিএ) (এসকেএইচপিপিএ)-এর নথি (বিদ্যমান শ্রমিকদের নমুনা নথি), বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট, জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল, প্রতিশ্রুতি/গ্যারান্টি পত্র, পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদন পত্রসহ সকল নথির দুই সেট তৈরি করে এক সেট মূল এবং এক সেট অনুলিপি হিসেবে দিতে হবে।
এমআরএম/এএসএম