কণ্ঠশিল্পী মনির খান

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর গান গাওয়ার সুযোগ পাইনি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে গান গাওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি। আমার সংগীতের পায়ে শিকল পড়ানো হয়েছিল। গত ১৫ বছর আমার কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে’ আক্ষেপ করেই কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান।

তিনি বলেন, সরকারি কোনো প্রতিষ্টান যেমন, বিটিভি, রেডিও স্টেশন, শিল্পকলা একাডেমিতে আমাকে ডাকা হয়নি। বেসরকারি কিছু চ্যানেল ডেকেছে তাও আবার সেটা যে অহরহ তা নয়। আবার কারও ফোন এসেছে আমাকে কেন ডাকা হচ্ছে, তারা হয়তো ভালোবেসেই হোক কিংবা শ্রোতাদের অনুরোধেই হোক দুই একটি অনুষ্ঠান আমাকে দিয়ে করিয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহযোগিতায় ‘মনির খান সন্ধ্যা’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মনির খান বিনা পারিশ্রমিকে বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য গান করেন।

মনির খান বলেন, ৩ বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং জুড়ি বোর্ডের মাধ্যমে। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবেই ৩ বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই সব জায়গায়, সব অনুষ্ঠানে একটা কার্ড বা একটা দাওয়াত পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছি শুধু ভিন্ন মতের(বিএনপির) ছিলাম বলে। এই মতের কারণেই গত ১৫ বছর আমার কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে।

আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, একটা দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছিল যেখান থেকে নীরবে নিজে নিজে যুদ্ধ করেছি। যে সমস্ত মানুষ ভালোবেসে একজন মনির খান তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন তাদের ভালোবাসাতেই আজকে ভালো আছি, সুস্থ আছি।

এসময় মো. আসাদুজ্জামান মাসুম ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, দাতু মো. সেলিম, মো. কাউসার হোসেন, কমিউনিটির নেতা মো. জসিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী, ব্যবসায়ী মো. শরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মো. রাসেল রানা, ব্যবসায়ী মো.রিপন মিয়া, মো. রমজান মিয়া, নূরে সিদ্দিকী সমন,মো. বিল্লাল মিয়া ও সোহাগ সহ শতাধিক প্রবাসী। এসময় মনির খানের সংগীত সন্ধ্যার বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন বঙ্গভয়েস ব্যান্ডদল।

এসআইটি/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]