মালয়েশিয়ায় অসামাজিক কার্যকলাপে ১১ বাংলাদেশি নারী গ্রেফতার

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:০০ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৪
মালয়েশিয়ায় পতিতাবৃত্তি, ১১ বাংলাদেশি নারীসহ গ্রেপ্তার ৭৫/ছবি- সংগৃহীত

কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরে আটটি পৃথক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১১ বাংলাদেশি নারীসহ ৭৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (জিআইএম)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জালান তুন রাজাকের দুটি স্থানে এবং কুয়ালালামপুরের জালান পুডু নামে আরও ছয়টি স্থানে, শাহ আলমে কাম্পুং বারু সুবাং, পুচং এর পুচং টাউন সেন্টার, ক্লাং-এ তামান আন্দালাস জয়া, তামান বেয়ু এবং ক্লাং সেন্ট্রালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেআইএম মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, জনসাধারণের তথ্য এবং গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটের কাজ ছিল বডি ম্যাসাজ এবং পতিতাবৃত্তির সেবা দেওয়া। এছাড়াও, গ্রাহকরা টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের ছবি ব্যবহার করে এসব কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন।

গ্রেপ্তার ৭৫ জনের মধ্যে ৩২ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী, ১১ বাংলাদেশি নারী, আটজন ভিয়েতনামী নারী এবং ৬ জন ভারতীয় নারী।
এছাড়াও সাত বাংলাদেশি পুরুষ, দুইজন মিয়ানমার পুরুষ এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৬ এর মধ্যে। ২৩ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রুসলিনের বলেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং চার ভিয়েতনামী নারী যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং দুইজন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং একজন ভিয়েতনামী নারী অবস্থান করেছিলেন।

রুসলিন বলেন, আটক অন্যান্য বিদেশিদের দেশে থাকার বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না। অপারেশন দল একটি মোবাইল ফোন, ১৫টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, ৫টি ভিয়েতনামী পাসপোর্ট, কম্পিউটারের একটি সেট এবং ১০টি গ্রাহক নিবন্ধন কাজের বই ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

পরিচালক বলেন, যেসব বিদেশিকে আটক করা হয়েছে, তারা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছে।

তাদের আরও তদন্তের জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। এছাড়া সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন নারীকে ৫৬(১)(ডি) এবং ১৯৫৯/এর অভিবাসন আইনের ৫৫ ধারার অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]