জামাইকার কুইনসে বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মানে রোটারি ক্লাবের আয়োজন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের জামাইকার কুইনসে বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মানে রোটারি ক্লাব একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় ভালোবাসা আর সম্মানের প্রতীক স্বরূপ অতিথি বয়োজ্যেষ্ঠদের লাল এবং সাদা রঙের মাফলার পরিয়ে দেওয়া হয়।

টিভি পর্দায় প্রদর্শন করা হয় অনুপ্রেরণামূলক কথা- ‘ইউ আর নট ওলড, ইউ আর আওয়ার গোলড, এইজ ইজ জাসট এ নম্বর’, ‘উই লাভ ইউ, উই ভেলউ ইউ, রোটারিয়ানস আর উইথ ইউ’।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দাঁড়িয়ে সবাই সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’।

অনুষ্ঠানে ক্লাব প্রেসিডেন্ট কাজি আহমেদের মা, প্রয়াত সাংবাদিক কাজী শফিকউদ্দিন খাদেমের স্ত্রী, ৮১ বছর বয়সী হাসনা শফিক ১৯৫২ সালে তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

jagonews24

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রওনক আহমেদ মঞ্চে ডেকে নেন ক্লাব সদস্য আতিকুর রহমানকে। যার বাবা একজন ভাষা সৈনিক প্রয়াত মুস্তাফিজুর রহমান।

আতিকুর রহমান তার বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তুলে ধরেন কীভাবে যুবক বয়সে একজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হলে তাকে সাইকেলে তুলে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে প্যাডেল চেপে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।

রওনক আহমেদের বাবা ৮৩ বছর বয়সী দলিল আহমেদ রোটারি ক্লাব অফ হোপ নিউ ইয়র্কের পক্ষে একটি ‘বাইসাইকেল শোপিস’ তুলে দেন আতিকুর রহমানের হাতে।

উপস্থিত বয়োজ্যেষ্ঠদের আনন্দ দেওয়ার প্রয়াসে আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক পর্ব, মিউসিকেল পিলো খেলার প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী এবং সেই সঙ্গে ছিল মধ্যাহ্নভোজ ও চায়ের আয়োজন।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে ক্লাব প্রেসিডেন্ট কাজি আহমেদ এবং সেক্রেটারি পারভেজ সোহেল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রওনক আহমেদকে নিয়ে কেক কেটে রোটারী ইন্টারন্যাশনালের ১১৯তম জন্মদিন উদযাপন করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোয়েব খান, আতিকুর রহমান, সানটুনু সাজজাদ, ফয়সাল মাহমুদ, আরিফ আহমেদ, মোহাম্মদ বাবর, আব্দুল্লাহ তারেক মোহাম্মদ এবং মারসা চৌধুরী।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট কাজি আহমেদ একটি স্লাইড শো উপস্থাপন করে ক্লাবের বাৎসরিক কার্যক্রম সবার কাছে তুলে ধরেন।

জেডএইচ/

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]