ভ্রমণই আনন্দের খোরাক
পৃথিবীতে কত ধরনের মানুষ আছে তা বলা মুশকিল। ভ্রমণের নেশায় পড়াশোনা, চাকরি তুচ্ছ করে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন এমন ব্যক্তি হয়তো কষ্ট করে খুঁজে বের করতে হবে। ভ্রমণেই যিনি খুঁজে ফেরেন রঙিন দুনিয়ার রঙের মানুষ। ভ্রমণই তার জীবনে আনন্দের খোরাক।
হ্যাঁ, এই ভ্রমণ-পিপাসু মানুষটির নাম ফাইসাল আহমেদ ‘‘MR GOOO’’ জন্ম পুরান ঢাকায় হলেও শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জ শহরে। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান রাজধানী প্যারিসে।
এরপর ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিসে স্নাতক ও ইউনির্ভাসিটি অফ বোরড্যাক্সে স্নাতকোত্তর সম্মাননা অর্জন করেন। বর্তমানে ইউনির্ভাসিটি অফ বোরড্যাক্স থেকে পিএচডি করছেন। কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সান্নিধ্যে।
ব্যাংকার বাবা চেয়েছিল ছেলে একজন ক্রিকেটার হবে তবে যাকে জল, জেলে, পাহাড়, সমুদ্র, গ্রাম, নদী নালার টানে তাকে কে আর ঘরে আটকে রাখে।
ভ্রমণের পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত লেখালেখি করছেন। ইউরোপে আগত ছাত্র-ছাত্রী এবং কাজের উদ্দেশ্যে যারা আসতে চাচ্ছেন তাদের প্রতিনিয়ত গাইড করে যাচ্ছেন। তার দেখানো পথে আজ অনেকেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: জীবনে প্রথম ফ্রান্স ভ্রমণ
মনে দাগ কেটে যাওয়া এমন কিছু স্মৃতি বা অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে শুধু ভ্রমণই নয়, জীবনের প্রতিটি দিনই নতুন কিছু শিখিয়ে যায়। নতুন অভিজ্ঞতা হয়। পৃথিবীর পথে পথে কত যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
ফাইসাল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশেও অনেক দেখার মতো জায়গা রয়েছে। আপনি যদি দেখতে চান, জানতে চান তাহলে অবশ্যই খুঁজে পাবেন। শত হলে ‘হাজার দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
ভ্রমণ-পিপাসু ফইসাল উচ্চশিক্ষা ও ব্যস্ততম কর্মজীবন অতিবাহিত করার পাশাপাশি নিজের বাকি সময়টুকু তিনি ব্যয় করেন বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডে। তিনি ফ্রান্সের দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘‘Le Baam’’ এবং ‘‘La Mif’’ এর সাথে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন।
এছাড়া বাংলাদেশে ‘MR GOOO’S FOUNDATION’ নামে তার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। যেখান থেকে তিনি প্রতিনিয়ত দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান।
ফাইসাল আহমেদের জীবনের দীর্ঘ সময় কেটেছে দেশের বাইরে। নানা দেশের নানা জাতির কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য, পরিবেশ-পরিচিতি তাকে পরিণত করেছে এক ভিন্ন ফাইসাল আহমেদে। এরই মধ্যে তিনি দুইটি বই লিখেছেন।
এমআরএম/জিকেএস